খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬: ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ফ্যাসীবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের সূচনা হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, ২৮ অক্টোবরের লগি বৈঠার নৃশংস হত্যাকান্ডের মাধ্য দিয়েই দেশবিরোধী-গণতন্ত্র বিরোধী অপশক্তি দেশবাসীর কাঁধে চেপে বসেছে। সেই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সংগঠিত ১/১১ ছিল সা¤্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদী ষড়যন্ত্রের চূড়ান্ত খেলা। আজকের সরকার সেই ষড়যন্ত্রেরই ফসল।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া আজ বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘২৮ অক্টোবর স্মরণে’ বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন। নগর আহ্বায়ক সৈয়দ শাহজাহান সাজু‘র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ নুরুল আমান চৌধুরী, সম্পাদক মোঃ কামাল ভূঁইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার রহমান শিকদার, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, বাসন্তি বরুয়া বাবলী, সদস্য সোলায়মান সোহেল, আবদুল্লাহ আল কাউছারী, জিল্লুর রহমান পলাশ প্রমুখ।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, বাংলাদেশকে রাজনীতিশূন্য করতে এবং দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতেই ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছিল। ইতিহাসের এই কালো অধ্যায়ের কারণে বিশ্ব সভ্যতায় আমাদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের হত্যাকান্ডের বিচার না হলে মানবতা-মানবাধিকার প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে থাকবে।
সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ শাহজাহান সাজু বলেছেন, ২৮ অক্টোবর বর্বরোচিত হত্যাকান্ড ঘটিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতাকে গলাটিপে যারা হত্যা করেছিল ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না। ২৮ অক্টোবরের প্রেক্ষাপটে ১/১১ সূত্রধরে ২০০৮-এর ২৯ ডিসেম্বরের ডিজিটাল কারচুপির মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের কাঁধে এক অশুভ শক্তি ভর করেছে। এই দিনটি ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায় রচিত হয়েছিল। সেদিন যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা মানবতার শত্রু, সভ্যতার দুশমন।