খোলা বাজার২৪, বুধবার, ২ নভেম্বর ২০১৬: ভারতের দিল্লিতে কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধীকে আটক নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটেছে।
আত্মহত্যাকারী এক সেনা সদস্যের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বুধবার রাহুল এবং ওই পরিবারের সদস্যদের আটক করে পুলিশ।
রাহুলকে আটক করে মন্দির মার্গ থানায় বসিয়ে রাখে পুলিশ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গ্রেফতার দেখানোর দাবি করতে থাকেন তিনি। শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে কংগ্রেস সহসভাপতিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।
মঙ্গলবার দিল্লিতে একটি সরকারি ভবনের লনে বিষপান করে আত্মহত্যা করেন সাবেক সেনা সদস্য রামকিষণ গ্রেওয়াল (৬৫)।
সরকার ঘোষিত ‘এক পদ এক পেনশন’ স্কিমের আওতায় বর্ধিত পেনশন না পেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে চিরকুটে লিখে যান। এ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভারতের রাজনীতি।
রামকিষণের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আজ রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ঢুকতে গেলে প্রথমে কংগ্রেস সহসভাপতিকে বাধা দেয় দিল্লি পুলিশ। পরে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
হাসপাতালে ঢুকতে না পেরে এবং তাকে আটক করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাহুল। এভাবে তাকে আটকানো অগণতান্ত্রিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর কিছুক্ষণ আগে আটক করা হয় দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনিশ সিসোদিয়াকে। হাসপাতাল ফটক থেকে আটক করে পুলিশের একটি গাড়িতে তুলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এছাড়া লেডি হার্ডিঞ্জ হাসাপাতালের সামনে আটকে দেয়া হয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। এই হাসপাতালে আত্মহত্যাকারী ওই সাবেক সেনার ময়নাতদন্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
পুলিশের দাবি, আত্মহত্যার বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। হাসপাতালে রাজনৈতিক নেতাদের এভাবে আসার ঘটনায় চিকিৎসাসেবা বিঘিœত হচ্ছে।