Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

95খোলা বাজার২৪, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৬ :

পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা এবং ৩ নভেম্বর জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার ঘটনা মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের দালালদের চরম প্রতিশোধ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়িতে আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ সভায় সভাপতি বক্তব্যে এসব কথা বলেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে যাতে মুক্তিযুদ্ধে চেতনার ধারায় বাংলাদেশ আর এগোতে না পারে। যাতে আওয়ামী লীগ আর কোনোদিন ক্ষমতায় আসতে না পারে। এসব হত্যার পর কারা ক্ষমতায় এসেছে। পাকিস্তানের দালালরা এখানে ক্ষমতায় এসেছে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের পথ চিনিয়ে গ্রামে গ্রামে নিয়ে গেছে, এ দেশের মা-বোনদের তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরো বলেন, খুনি মোশতাক বেঈমানি করেছে, সে মীরজাফর। সেই খুনি মোশতাক ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান বানিয়েছে। পঁচাত্তরের আত্মস্বীকৃত খুনিরা বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছে, জিয়ার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ছিল, ইশারা দিয়েছিল।’
শেখ হাসিনা আরো বলেন, দেশ স্বাধীনের পর অনেক দালাল পাকিস্তানে চলে যায়। সেসব যুদ্ধাপরাধীর ভোটের অধিকার পর্যন্ত ছিল না। জিয়াউর রহমান তাদের আইন ভঙ্গ করে এ দেশে আসার সুযোগ করে দেয়। জামায়াতকে এ দেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেয়।
১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কিছুদিন পরই ৩ নভেম্বর কেন্দ্রীয় জেলখানায় জাতীয় চার নেতা মুক্তিযুদ্ধের সময়কার অন্যতম চার প্রধান সেনানি তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হয়।
দিবসটি স্মরণে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ধানণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
পরে বনানী কবরস্থান ও রাজশাহীতে জাতীয় চার নেতার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতারা।