খোলা বাজার২৪, সোমবার, ৭ নভেম্বর ২০১৬: প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স প্রবাহে নিম্নগতি দেখা দিলেও রপ্তানি আয়ের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।
সর্বশেষ অক্টোবর মাসে এই খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ। অর্থাৎ গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে এই অক্টোবরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ সাড়ে ১৪ শতাংশ বেশি বিদেশি মুদ্রা আয় করেছে।
আর চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) হিসাবে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
এই সময়ে ১৫ শতাংশের বেশি রেমিটেন্স কমলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে, যার জন্য রপ্তানি বৃদ্ধিকেই মুখ্য কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
রপ্তানিতে তৈরি পোশাকের পাশপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত মাছ, ওষুধসহ অন্যান্য খাতে সুবাতাস বইছে।
এর জন্য দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকাকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন অর্থনীতির গবেষক ও রপ্তানিকারকরা।
রোববার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গেছে, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ২৭১ কোটি ২৮ লাখ (২.৭১ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে, যা গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩৯ শতাংশ বেশি। এটা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও প্রায় ৩ শতাংশ বেশি।
পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন বলছেন, দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় রপ্তানি আয় বাড়ছে।
আগামী মাসগুলোতেও এ ‘ধারা’ অব্যাহত থাকার প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, “বছর শেষে গত অর্থবছরের মতো চলতি বছরেও রপ্তানি আয়ে ১০ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হবে।
“তবে বিশ্ববাজারে আমাদের তৈরি পোশাকের দাম কমে যাওয়ায় তীব্র প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বেশি পণ্য রপ্তানি করে কম আয় হচ্ছে।”