খোলা বাজার২৪, বুধবার, ৯ নভেম্বর ২০১৬ : যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অনেক জরিপের ফল ও বিশ্লেষকদের আভাস উল্টে দিয়ে হোয়াইট হাউসের পরবর্তী উত্তরাধিকারী নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান পার্টির এই প্রার্থী। এরপরই বিশ্বনেতারা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেউ কেউ আবার আশঙ্কাও প্রকাশ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের চির প্রতিদ্বন্দ্বী রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন অভিনন্দন জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। তিনি দুই দেশের মধ্যে ‘গঠনমূলক সংলাপ’ প্রত্যাশা করেন। দুই দেশের সম্পর্কের উন্নয়নে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। অভিনন্দন বার্তায় পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সংকটপূর্ণ অবস্থা কাটিতে উঠতে দুই দেশই কাজ করবে বলে তিনি আশা করেন।
রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ দুমার স্পিকারও নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আরও বেশি গঠনমূলক আলোচনা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান ফেদেরিকা মোগেরিনি বলেন, ‘ট্রাম্পের জয়ের পরও ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে কাজ করে যাবে। টুইটারে তিনি লিখেছেন, রাজনীতিতে যেকোনো ধরনের পরিবর্তনের চেয়ে ইইউ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধন অটুট। ইউরোপের শক্তি আবিষ্কার করতে আমরা একসঙ্গে কাজ করে যাব।’
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট মার্টিন শুলজ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের বিজয় আমাদের কাজকে “কঠিন” করে তুলবে।’ তিনি ইউরোপ ওয়ান রেডিওকে বলেন, আগের প্রশাসকদের তুলনায় তাঁর সঙ্গে কাজ করা কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। যাই হোক তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক আশা করেন।
তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইদিরিম বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা তুরস্কের ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে ফেরত দিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের এক নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে অভিনন্দন জানিয়েছেন মার্কিন নতুন নেতাকে। আশা করেন, এর মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বহাল থাকবে। এক বিবৃতিতে আবে বলেন, ‘আমি আপনার বিজয়ে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের স্থায়িত্ব, যা বিশ্ব অর্থনীতি, শান্তি ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সমৃদ্ধি নিয়ে আসে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। তাঁর কার্যালয় ট্রাম্পের প্রতি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ইসরায়েলের সঙ্গে চলমান অস্থিরতার অবসান ঘটাতে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের মুখপাত্র নাবিল আবু রুদেইনা এএফপিকে বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যকার সমস্যার সমাধানকল্পে আমরা মার্কিন নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’
ফিলিস্তিনের কট্টর ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের ‘পক্ষপাত’ নীতি পরিবর্তন হবে বলে তারা আশা করে না।
হামাসের মুখপাত্র সামি আবু জুহরি এএফপিকে বলেন, ফিলিস্তিনি লোকজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কোনো ধরনের পরিবর্তনের আশা করেন না। কারণ, ফিলিস্তিন ইস্যুতে মার্কিন নীতি সব সময়ই পক্ষপাতমূলক।
এ ছাড়া ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতেরতে ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। বলেছেন, ফিলিপাইন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নে ট্রাম্প একসঙ্গে কাজ করবেন বলে তিনি আশা করেন।