Tue. Apr 29th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৬:48
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না এবং বাংলার মাটি অন্য কোন দেশের সন্ত্রাসীদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ এবং উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় শনিবার গণভবন থেকে একসঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৩ সালে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিএনপি-জামায়াত দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। ২০১৪ সালে নির্বাচন বন্ধের জন্য বাসে, অটোরিকশায় আগুন দিয়ে প্রায় ১৩৫ জন নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। ২০১৫ সালে হঠাৎ খালেদা জিয়া (বিএনপি চেয়ারপার্সন) আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাতের ঘোষণা দিলেন। আন্দোলন করলেন, আন্দোলন কি? জ্বালাও পোড়াও। নিরীহ মানুষ হত্যা করা।
আসলে নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি তাদের ভুল বুঝতে পেরে মানুষ পুড়িয়ে এর শোধ নিতে থাকে। ভুল করবে তারা, আর তাদের ভুলের মাসুল বাংলার মানুষকে দিয়ে হবে তা কেমন করে হয়!
দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত উন্নয়ন আওয়ামী লীগ আমলে হয়েছে, আগে কেন হয়নি? আগে যারা দেশ চালিয়েছে, সবাই লুটপাট করে নিজেদের উন্নয়নে ব্যস্ত ছিল।’
‘আমরা চাই বাংলাদেশের প্রতিটি ছেলে-মেয়ে স্কুলে যাক, বিএনপি এটা চায়নি। খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। এমনকি কোনো সরকার ভারতের কাছে স্থল সীমানা চুক্তি নিয়ে কথা বলতে পর্যন্ত যায়নি, যা আমরা করেছি এবং সফল চুক্তি সম্পাদন করেছি, ‘যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রসম্পদ রক্ষার্থে আমরা ইতিমধ্যে একটি সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট করেছি এবং কক্সবাজারে একটি সি অ্যাকুরিয়াম তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে করে যারা গবেষণা করবেন তারা যেন ওই অ্যাকুরিয়ামের মাধ্যমে গবেষণা কাজটি চালাতে পারেন।’
‘সমুদ্রসম্পদ আমাদের আর্থসামাজিক উন্নয়নের কাজে ব্যাপক অবদান রাখতে পারে। যে কারণে ইতিমধ্যে আমরা ব্লু ইকোনমি নামে একটি নীতিমালাও করেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যত জলাশয় আছে, নদী-নালা, খাল-বিল আছে- এগুলো কেউ ভরাট করবেন না। খাল-নালা ভরাট করে কোন কিছু করার চিন্তা আমাদের পরিহার করতে হবে। বরং আমরা যে অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি, হাউজিং হচ্ছে প্রত্যেক জায়গায় একটা করে জলাধার করতে হবে। বৃষ্টির পানি সে জলাধারে জমা হবে। আর সব থেকে বড় উপকার হবে, আগুন লাগলে সে জলাধার থেকে পানি পাওয়া যাবে।’
এ সময় তিনি সমুদ্র জরিপ জাহাজ আরভি মিন সন্ধানীর উদ্বোধন করেন।