Tue. Oct 21st, 2025
Advertisements

5kখোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬ :  ভাই শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় নানী ও ঘটক কে পুলিশ আটক করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদরে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মা ও ভাই পলাতক রয়েছে।পুলিশ বলছে আত্মহত্যা করতে পারে।

পালং মডেল থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, শরীয়তপুর সদর উপজেলার চরলক্ষী নারায়ন গ্রামের সুলতান হোসেন দীর্ঘদিন যাবত শরীয়তপুর পৌর এলাকার মধ্যপাড়া এলাকায় তার শ্বশুর বাড়িতে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন। তারই কন্যা সাবিনা ইয়াসমীন(১৩) এবার পিএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। গত রোববার পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে তার মা রুমা বেগম ভাই সাব্বির হোসেন ও নানী মাকসুদা মিলে তাকে বিয়ের আয়োজন করছে। মাত্র তার বয়স ১৩ বছর । এ সময় সে বিয়েতে রাজি নয়। জোর করে অভিভাবকরা তাকে বিয়ে দিতে চায়। গত রোববার রাত অনুমান ৮টায় বিয়ের ঘটক একই উপজেলার চরলক্ষী নারায়ন এলাকার রহিমা বেগম সাবিনাদের মধ্যপাড়া বাসায় আসে। এ সময় সাবিনার বিয়ে নিয়ে আলোচনার একপর্যায়ে সাবিনা বিয়েতে রাজি নয় বলে সাপ্পা জানিয়ে দেয়।

এ সময় মা রুমা বেগম ও ভাই সাব্বির হোসেন ও নানী মাকসুদা মিলে সাবিনাকে বেদম মারপিট করে। এক পর্যায়ে গায়ের ওড়না দিয়ে গলায় ফাস দিয়ে তাকে হত্যা করে। ঘটনা অন্য দিকে প্রবাহিত করার জন্য আশে পাশের লোকজনকে বলেছে স্ট্রোক করে মারা গেছে। এ সময় গোপনে লাশ দাফন করার জন্য সকল প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে সোমবার বিকেলে পালং মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাফনের কাপড় পরিহিত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসাপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নানী মাকসুদা বেগম ও বিয়ের ঘটক রহিমা বেগম কে আটক করেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নিহত সাবিনার মা মাকসুদা ও ভাই সাব্বির পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

পালং মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ এমারত হোসেন বলেন, এ ঘটনার খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। লাশের গলায় দাগ রয়েছে । লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রোববার পরীক্ষা শেষে বাড়ি এসে বিয়ের ঘটনা নিয়ে মার সাথে মেয়ে সাবিনা কথা কাটাকাটি করেছে। আমাদের ধারনা বিয়েতে রাজি না থাকায় আত্মহত্যা করেছে।