সুনান বিন মাহাবুব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পড়াশোনার পাশাপাশি সমন্বিত সবজি ও মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের তরুণ উদ্যোক্তা মো. মাইনুল ইসলাম। বাবার অনাবাদী পতিত জমিকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলেছেন সবুজের এক দৃষ্টিনন্দন বাগান ও সমন্বিত খামার।
তিন বছর আগে মাত্র ৩৩ শতক জমিতে পুকুর ও মাদা তৈরি করে শুরু করেছিলেন বিভিন্ন জাতের সবজি ও মাছ চাষ। বর্তমানে সেই ছোট উদ্যোগই রূপ নিয়েছে একটি সফল কৃষি খামারে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাইনুলের বাগানে আগাম জাতের লাউ, ধুন্দল, জালি কুমড়া, দেশি বোম্বাই মরিচ, বেগুন, শসা, করলা, শাম্মাম, মিষ্টি কুমড়া, পুঁই শাক, বস্তায় আদা চাষ ও সারি সারি পেঁপে গাছের সমাহার। অন্যদিকে পুকুরে চাষ হচ্ছে রুই, কাতল, তেলাপিয়া, সিলভার কার্প, গ্রাস কার্প, ফলি, পুঁটি ও ব্ল্যাক কার্প প্রজাতির মাছ।
চলতি খরিপ মৌসুমে তিনি ইস্পাহানী কিং, রেড লেডি, শাহী ও বাবু জাতের পেঁপের ১২০টি গাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা আয় করেছেন। এছাড়াও অন্যান্য সবজি বিক্রি করে আরও প্রায় এক লক্ষাধিক টাকা মুনাফা করেছেন।
মাইনুল ইসলাম বলেন, “আমি পটুয়াখালী সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পড়াশোনার পাশাপাশি কৃষিকাজে বাবাকে সাহায্য করতে গিয়ে কৃষির প্রতিই আগ্রহ জন্মে। বাবার অনুপ্রেরণা ও কৃষি অফিসের পরামর্শে এখন আমি একজন সফল কৃষক।”
মাইনুলের বাবা আ. সালাম মৃধা বলেন, “একসময় সংসারের খরচ চালাতে কষ্ট হতো। এখন ছেলের উদ্যোগেই সবজি, মাছ ও কম্পোস্ট সার উৎপাদন করে স্বচ্ছল জীবনযাপন করছি।”
পাশ্ববর্তী এলাকার কৃষকরা জানান, মাইনুলের সাফল্য দেখে অনেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ জমিতে কৃষি খামার গড়ে তুলছেন।
এ বিষয়ে দুমকি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন বলেন, “মাইনুলের খামারে বিষমুক্ত শাকসবজি উৎপাদিত হচ্ছে। কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে তাকে নিয়মিত পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।