খোলা বাজার২৪, মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর ২০১৬ :
মুন্সীগঞ্জ : যেকোন মূল্যে মুন্সীগঞ্জ জেলাকে মাদকমুক্ত করার অঙ্গীকার করেছিলেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম পিপিএম। মুন্সীগঞ্জ জেলায় যোগদান করেই পুলিশ সুপার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছিলেন। গত-১১-০৮-১৬ইং তারিখ বুধবার বিকাল ৫ টার সময় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে জাতীয় অনলাইন সম্পদনাকে তিনি এ কথা জানান। তিনি আরো বলেছিলেন, মাদকের সাথে কোন আপোষ নয়। মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তি কোন দলের তা দেখার সময় নেই। মাদকের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আমি কথায় নয় কাজে বিশ্বাসী। যে কথা তিনি সাংবাদিকদের দিয়েছিলেন সে লক্ষে তিনি কাজও করেছেন । তার দেওয়া কথা এবং কাজের সাথে শতভাগ সফলতা লক্ষ করা গেছে । শুধু তাই নয় জেলা আইন সৃংঙ্খলা কমিটি মিটিং, থানা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি পুলিশিং ফোরাম সভায় মাদক বিষয়ে গণসচেতনতামূলক ব্যাপক প্রচারনা করে পুলিশ। তাছাড়া প্রতিমাসে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন এলাকার মাদক, বাল্য বিবাহ, সন্ত্রাস নির্মূলে সমাজের সর্ব স্থরের লোকদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে ব্যাপকভাবে কাজ করেছে জেলা পুলিশ। জেলার বিভিন্ন থানা সূত্রে জানাযায়, বিগত দিনে প্রতিমাসে শতকরা ৭০ ভাগ মামলা শুধু মাদক সংকান্ত ছিল। এখন তা অনেকটা কমে এসেছে। বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা আইনের আওতায় এসেছে। যারাই বাইরে ছিল তারা এখন এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। যারাই এখন মাদক বিক্রিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে তারা প্রতিনিয়ত আইন সৃংঙ্খলা বাহিনীর হাতে মাদকসহ ধরাও পড়ছে প্রতিনিয়ত। জেলার প্রতিটি থানায় এলাকাভেদে থানা এবং ডিবি পুলিশের একাধিক টিম মাদক অভিযানে সক্রিয় রয়েছে। তবে সুশীল সমাজ মনে করছেন শুধু আইন প্রয়োগ করে মাদক নির্মূল করা সম্ভব নয়। এ জন্য সামাজিকভাবে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সেই সঙ্গে মাদক ব্যবসায়ী, সেবনকারী ও আমদানিকারদের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করতে হবে । একটি পরিবারকে ধবংস করার জন্য একজন মাদকাসক্তই যথেষ্ট।
জেলার বিভিন্ন মাদক এলাকার একাধিক মাদক সেবনকারীদের সাথে কথা বলে জানাযায়, পুলিশের ব্যাপক নজরদারির কারনে সহজে মাদক পাচ্ছেনা। অনেকে একাধিকবার আটক হয়ে জেল খেটে নিঃস্ব হয়ে গেছে। কেউ নিজের ইচ্ছায় ছেড়ে দিয়েছে আবার কেউ সামাজিক প্রতিরোধের কারনে মাদক থেকে অনেকটা দুরে চলে এসেছে। যারাই এখন মাদক বিক্রি এবং সেবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে তারও এক সময় মাদক ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে।
স্থানীয়রা জানান, মাদক নির্মূলে এলাকার সামাজিকভাবে জনপ্রতিনিধি ও সর্ব স্থরের লোকদের মাদক নির্মূলে এগিয়ে আসতে হবে। জনসচেতনতামূলক প্রচারনা এবং সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুললেই মুন্সীগঞ্জ জেলাকে মাদক মুক্ত জেলা হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব।