Mon. Oct 20th, 2025
Advertisements

23kখোলা বাজার২৪, সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০১৬: সারা দেশে ৯টি কলেজের নাম পরিবর্তনের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব কলেজ স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী ব্যক্তিদের নামে প্রতিষ্ঠিত। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরকে (মাউশি) চিঠি দিয়ে বলেছে, ‘মহান ব্যক্তিদের’ নামে এসব কলেজের নতুন নামকরণের প্রস্তাব পাঠাতে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঠিকই থাকবে। শুধু নামগুলো পরিবর্তন হয়ে যাবে।
কলেজগুলো হলো, টাঙ্গাইল বাসাইলের এমদাদ হামিদা ডিগ্রি কলেজ, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজ, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের মাওলানা সাইফুদ্দিন এহিয়া ডিগ্রি কলেজ, নাটোর নলডাঙ্গার ডা. নাসির উদ্দিন তালুকদার কলেজ, সাতক্ষীরা সদরের বাটকেখালী এম এ গফুর মডেল কলেজ, মেহেরপুরের মুজিবনগর আনন্দবাস মিয়া মনসুর একাডেমি, হবিগঞ্জের মাধবপুরের সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার মোস্তাফিজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ এবং রাঙ্গুনিয়ার সেলিনা কাদের চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ।
নাম পরিবর্তনকে বড় কাজ উল্লেখ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর এসে এটি করতে পারায় মনে একধরনের প্রশান্তি বইছে। গতকাল তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীরা সমাজে ‘রাজাকার’ নামে প্রতিষ্ঠিত। এরাই দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সমাজদরদি সেজে নিজের কিংবা পরিবারের কারো সদস্যের নামে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে বসেছে। কিন্তু এখন থেকে এটি আর চলবে না। নাম পরিবর্তনের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রণালয়ের ওই চিঠি পাওয়ার পর ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৯টি কলেজের প্রতিষ্ঠাতারা এলাকায়ও স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত। পাকিস্তান আমলে এরা এলাকায় ‘মুসলিম লীগার’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ধনকুবের হওয়ায় এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাধারণত কেউ কোনো কথা বলতে চায় না। বাংলাদেশ জন্ম নেয়ার পর তারা স্ব স্ব এলাকায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে ‘সমাজপতি’ বনে যান। প্রকাশ: ভোরের কাগজ