খোলা বাজার২৪, রবিবার, ৮ জানুয়ারি ২০১৭: দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে মংলা থানায় আটক বনদস্যু নোয়া বাহিনীর ১২ সদস্যকে রবিবার দুপুরে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক গৌতম মল্লিক তাদের কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। শনিবার রাতে র্যাব ৮ এর ডিএডি মো. জিয়াউল হক বাদী হয়ে দস্যুতা ও অস্ত্র আইনে বনদস্যু নোয়া বাহিনীর প্রধানসহ ১২ বনদস্যুর নামে মংলা থানায় মামলা দায়ের করেন।
এর আগে শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ২৫ অস্ত্র ও এক হাজার একশ ৫টিগোলাবারুদ জমা দিয়ে সুন্দরবনের বনদস্যু নোয়া বাহিনীর প্রধানসহ ১২ বনদস্যু স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আতœসর্মাপন করে। পরে তাদের শনিবার রাতে কড়া নিরাপত্তায় মংলা থানায় নিয়ে আসা হয়।
অন্ত্র মামলায় কারাগারে প্রেরন করা আসামীদের মধ্যে রয়েছে সুন্দরবনের বনদস্যু নোয়া বাহিনীর প্রধান বাকি বিল্লাহ ওরফে নোয়া মিয়া (৩৭), মো. মনিরুল শেখ (৩৮), মো. মানজুর মোল্লা রাঙ্গা (৪২), মো. মুক্ত শেখ (৩৭), মো. তরিকুল শেখ (৬০), মো. আকবর শেখ (৪২), মো. কিবরিয়া মোড়ল (৪০), মো. জাহাঙ্গীর শেখ ওরফে মেজ ভাই (৪৮), মো. ইউনুস শেখ ওরফে দুলাল ঠাকুর (৪০), মো. মিলাদুল মোল্লা ওরফে কালু ডাকাত (২৮), মো. মোশারেফ হোসেন (৩৭) ও মো. আল আমিন সিকদার (৫০)। এদের বাড়ি বাগেরহাট জেলার মংলা ও শরনখোলা থানায়।
র্যাব -৮ এর উপ অধিনায় মেজর আদনান কবির জানান বিশাল সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার উপকূলবর্তী মানুষ প্রতি নিয়তই বনদস্যু বা জলদস্যুদের আক্রমনের শিকার হয়। সুন্দরবন সহ বিতৃন্ন উপকূলীয় এলাকায় বনদস্যু, জলদস্যুদের দমনের লক্ষ্যে র্যাব, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি ও বন বিভাগের সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স কাজ করছে। র্যাব সুন্দরবন এলাকায় জলদস্যু ও বনদস্যুদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে। সর্বশেষ বনদস্যু নোয়া বাহিনীর ১২ সদস্য আতœসর্মাপন করায় এ নিয়ে সুন্দরবনে ছয় দফায় ৮ বনদস্যু বাহিনীর ৭২ জন সদস্য ১৬৪ টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ হাজার ৬শ ৩৬ রাউন্ড গুলি র্যাবের কাছে জমা দিল। অল্পসময়ের মধ্যে ৮টি বনদস্যু বাহিনীর আতœসর্মাপনের ফলে সুন্দরবনে বনদস্যুদের তৎপরতা বহুলাংশে কমে এসেছে বলে র্যাবের এই কর্মকর্তা দাবী করেন।