Wed. Apr 30th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খোলা বাজার২৪, শনিবার, ১৪ জানুয়ারি ২০১৭: 50রাজশাহীর তানোরে ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধনের তিন বছর পর ঘাপলামারা রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তিন বছর আগে উপজেলার কৃষ্ণপুর মোড়ে কাঁকনহাট জিসি, হাটবাকইল, ভায়া কুন্দাইন, কৃষ্ণপুর, পাঠাকাটা এবং কোয়েল হাট রাস্তা নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেছিলেন সাংসদ ফারুক চৌধুরী। তিন বছর কাজ শুরু হলেও একেবারে নি¤œমানের ইট খোয়া ও খোয়ার পুরাতন মালমত্র দিয়ে দায় সারা কাজ করছেন বলে এলাকাবাসী জানায়। ফলে রাস্তা নির্মাণের পরে টিকসই নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন। জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে স্থানীয় সরকার এলজিইডি’র বাস্তবায়নে সম্প্রতি রাস্তাগুলোর কাজ শুরু হয়েছে। কৃষ্ণপুর মোড় থেকে বাজার পর্যন্ত রাস্তাটিতে চলছে ডাবলুবিএম’র কাজ। পুরাতন তিন নম্বর ইট ও খোয়া দিয়ে করা হচ্ছে ডাবলুবিএম। এখানেই শেষ না পুরাতন রাস্তার খোয়ার গুড়ি ও ধুলাবালী দেয়া হচ্ছে ডাবলুবিএম কাজে। এছাড়াও পাঠাকাটা মোড় থেকে চিমনা পর্যন্ত রাস্তাটির দুপাশে শুরু হয়েছে খননের কাজ। খননের পর পরিমাণ মতো খোয়া বালি না দিয়ে নিচে মাটি ও সামান্য পরিমাণ বালি ও পুরাতন ইটের খোয়ার গুড়ি দিয়ে সারা হচ্ছে কাজ। সেখানে কথা হয় রাস্তার ঠিকাদারের ম্যানেজার বাবলুর সাথে। তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী হচ্ছে কাজ। কাজের ইস্টিমেট দেখাতে চাইলে সরাসরি না বলে দেন। তাহলে কাজ কি করে করছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, অভিজ্ঞতা থেকে করা হচ্ছে। তার সঙ্গে কথা বলা অবস্থায় আসেন তানোর এলজিইডি অফিসারের এসও হাবিব, রাজীব, আজাদুজ্জামান। এসও হাবিব ট্রাক্টরে থাকা পুরাতন খোয়া ও খোয়ার গুড়ি দিতে দেখে নিষেধ করেন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় এসব পুরাতন মালামাল দিয়ে কিভাবে নতুন রাস্তা নির্মাণ করা যায়। জবাবে তিনি জানান, রাস্তা নির্মাণে একটু আদটু এদিক সেদিক হয়। তবে যে খোয়া ও খোয়ার গুড়ি ব্যবহার হচ্ছে সেগুলো নিষেধ করা হয়েছে। শুক্রবার পাঠাকাটা রাস্তায় গিয়ে দেখা যায় একই অবস্থা। একয়টি রাস্তার ব্যয় ধরা হয় ৮ কোটি ৪৭ লক্ষ ১২ হাজার ১৭৬ টাকা। রাস্তাগুলো দেখভালের দায়িত্বে আছেন এলজিইডি। শুক্রবার ছুটির দিন হলেও কৃষ্ণপুরের রাস্তায় ফেলতে দেখা যায় খোয়া, পাঠাকাটা রাস্তায় দেখা যায় ইট খোয়া ফেলতে। তবে কোন এসও কে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ্ আল মামুনের কাছে রাস্তার এসব জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।