খােলা বাজার২৪।। মঙ্গলবার , ১৬ মে, ২০১৭: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, ভারত উজানের রাষ্ট্র হিসাবে ভাটির দেশ বাংলাদেশের সাথে সৎ প্রতিবেশী হিসাবে আচরন করতে ব্যর্থ হয়েছে। ফারাক্কা সমস্যা সামাধানে ব্যর্থ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের পক্ষে দেশের স্বার্থ বিরোধী উকালতি করছে। যে সরকার ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারে না, দেশের জনগনের কল্যাণ ও জনগনের মৌলিক চাহিদা পুরন করতে পারে না তাদের ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই।
হাবিবুর রহমান হাবিব আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪১তম বার্ষিকী স্মরণে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘গঙ্গা-তিস্তাসহ ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবীতে” আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখছিলেন।
ন্যাপ নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু’র সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার, ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জাগপা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, এনপিপি মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিন সহ-সভাপতি মুহাম্মদ ফরিদউদ্দিন, বিএনপি বাগেরহাট জেলা উপদেষ্টা ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান কাজী ফারুক হোসেন, সম্পাদক মোঃ কামাল ভুইয়া, যুব নেতা আবদুল্লাহ আল কাউছারী, ছাত্রনেতা সোলায়মান সোহেল প্রমুখ।
এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, ফারাক্কা বাঁধের ফলে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিনত করেছে এবং টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে আবারো দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে মরুভূমিতে পরিনত করার যে ষড়যন্ত্র করছে তার বিরুদ্ধে দেশের সকল দেশপ্রেমিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেছেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদ। ভারত মূলত দুটি উদ্দেশ্যে পানি আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। এর একটি হচ্ছে রাজনৈতিক কারনে পানিকে ব্যবহার করা আর রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশকে ব্যর্থ ও পঙ্গু রাষ্ট্রে পরিনত করা। ভারতের পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানীর মতো নেতৃত্ব তৈরী করতে হবে। তিনি বলেছেন, ভারত যা বলে তা করে না, যা করে তা বলে না। আওয়ামী-বাকশালী চক্র ভারতের সাথে যতগুলো চুক্তি করেছে সবগুলো জাতীয় স্বার্থ বিরোধী। বর্তমান সরকার সাম্রাজ্যবাদী ও স¤প্রসারনবাদী শক্তির সহায়তার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। তাদের শেষ রক্ষা হবে না, হতে পারে না।
আহসান হাবিব লিংকন বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক হতে হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে কার্যকরী সম্পর্ক। আমরা শুধু ভারতে দিয়ে যাব বিনিময়ে আমরা কিছুই পাবো না তা হতে পারে না। আওয়ামী লীগের দাসসূলভ আচরনের কারনেই ভারত পানি আগ্রাসন অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, জাতি হিসাবে আমরা দুর্বল নই। যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি, লড়াই করে গণতন্ত্র রক্ষা করবো-ভারতীয় আগ্রাসন রুখবো।
সভাপতির বক্তব্যে মোঃ শহীদুননবী ডাবলু বলেছেন, ভারতের সাথে বাংলাদেশের অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে বাংলাদেশের শাসকগোষ্টি কখনো সোচ্চার নন। ভারতের পানি আগ্রাসন রুখতে হলে ১৬কোটি মানুষের ঐক্যকে শক্তিতে পরিনত করতে হবে।