খােলা বাজার২৪।। শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭: টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমালা (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। এসডিজিতে পরিবেশকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এসডিজি’র পাশাপাশি কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত প্রকল্পও গ্রহণ করেছে সরকার। এটা স্ব-বিরোধী। কারণ রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প সুন্দরবনের পরিবেশকে ধ্বংস করবে। এসডিজি বাস্তবায়ন করতে হলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে। দুটো এক সঙ্গে চলতে পারে না।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)-র সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। এসডিজি ও পরিবেশ বিষয়ক প্রস্তাবনার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ উপলক্ষে এর আয়োজন করা হয়। চলতি বছরের ১৪ ও ১৫ জানুয়ারী ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসডিজি বিষয়ক দুইদিন ব্যাপী বিশেষ সম্মেলনে উপস্থাপিত শতাধিক প্রবন্ধ ও অংশগ্রহণকারীদের আলোচনা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালার আলোকে এই প্রস্তাবনা চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সংগঠনটির সহসভাপতি অধ্যাপক খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাপার এসডিজি বিষয়ক প্রচারাভিযানের সদস্য সচিব জাকির হোসেন। বক্তৃতা করেন সহসভাপতি অধ্যাপক এ এম মুয়াজ্জাম হুসেইন, নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন।
জাকির হোসেন বলেন, এসডিজিকে যদি শুধু একটি দলিল হিসেবে দেখা হয় হয়, তাহলে কোন কাজ হবে না। বিভিন্ন লক্ষ্যমালার সঙ্গে সংযুক্ত করে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, এসডিজির মূল লক্ষ্য হলো, অসমতা হ্রাস এবং পরিবেশ রক্ষায় বিশেষ জোর দেওয়া। এই কাজ করার জন্য অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সামাজিক উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষা এই তিনটি বিষয়ের পারস্পারিক সম্পর্কিত বিষয়গুলোর প্রতি নজর দিয়ে এগুতে হবে।
অধ্যাপক এ এম মুয়াজ্জাম হুসেইন বলেন, পরিবেশকে বিবেচনা করেই এখন উন্নয়ন করতে হবে। এসডিজিতে এখানেই বেশী গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। সরকার এসডিজি গ্রহণ করার পরও কি করে কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত প্রকল্প গ্রহণ করে-তা বোধগম্য নয়। এই প্রকল্প সুন্দরবনের পরিবেশকে রক্ষা করছে না। এসডিজি গ্রহন করলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করতে হবে।
অধ্যাপক এম শহীদুল ইসলাম বলেন, হাওরে যে রাস্তাগুলো তৈরী করা হয়েছে, তাতে অনেক অসুবিধা দেখা দিচ্ছে। তাই হাওরকে হাওরের মত রাখতেই হবে। তিনি আরো বলেন, সমুদ্রের সম্পদ আহরনের জন্য আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।