খােলা বাজার২৪।। বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭: সিলেটের শিববাড়ির আতিয়া মহলে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন টোয়ালাইটে’ নিহত মনজিয়ারা পারভীন ওরফে মর্জিনার পরিচয় ডিএনএ টেস্টে নিশ্চিত হওয়া গেলেও মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইর বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য জানিয়েছেন। নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা আতিয়া মহলের অভিযানে মারা যাওয়ার কথা জানিয়েছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সর্বশেষ ডিএনএ টেস্টেও মুসার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ডিএনএ টেস্টে ওই ভবনে নিহত নারী জঙ্গির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তার নাম মনজিয়ারা পারভীন। ‘মর্জিনা’ নামে পরিচিত এ নারী সীতাকুন্ডে নিহত নারী জঙ্গি জুবাইরা ইয়াসমীনের বোন। অপারেশন চলাকালে ওই ভবনে মর্জিনা রয়েছেন বলে দাবি করেছিল পুলিশ। আতিয়া মহলের অভিযানে তিন পুরুষ ও এক নারী জঙ্গি নিহত হন। আতিয়া মহলের ঘটনায় দায়েরকৃত দুটি মামলার তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম মল্লিক জানান, ডিএনএ টেস্টে কেবল মনজিয়ারা পারভীন পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। আর কারো পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। এই মামলাগুলোর এখনো তেমন অগ্রগতি নেই বলে জানান তিনি। চলতি সপ্তাহে এই ডিএনএ প্রতিবেদনগুলো পাওয়া গেছে। শিগগির মনজিয়ারার পরিবারকে পরিচয় শনাক্তের বিষয়টি জানানো হবে বলে জানান তিনি। সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ির আতিয়া মহলে জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত হওয়ার পর গত ২৫ মার্চ থেকে অপারেশন টোয়াইলাইট নামে অভিযান শুরু করে সেনাবাহিনী।
১১১ ঘণ্টার অপারেশন ওই ভবন থেকে একজনসহ মোট চারজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযান শুরুর আগে থেকেই পুলিশের ধারণা ছিল ওই ভবনে নব্য জেএমবি নেতা মঈনুল ইসলাম ওরফে মুসা ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম অবস্থান করছেন।
আতিয়া মহলে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করতে ২৯ মার্চ সকালে মনজিয়ারার বাবা নুরুল ইসলাম ও বড় ভাই জিয়াবুল হককে সিলেট এনে তাদেরকে নিহত নারীর মৃতদেহের ছবি ও বাসা ভাড়া নেয়ার সময় দেয়া পরিচয়পত্রের ছবি দেখানো হয়। তবে তখন তারা ছবি দেখে শনাক্ত করতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের ডিএনএর নমুনা রাখা হয়। পরদিন ৩০ মার্চ মুসাকে শনাক্তের জন্য রাজশাহী থেকে মুসার মা সুফিয়া বেগমকে সিলেট আনা হয় ও তারও ডিএনএ নমুনা রাখা হয়। তবে ডিএনএ টেস্টে সুফিয়া বেগমের নমুনার সাথে মুসার নমুনা মিলেনি।