
বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রতিবেদন মতে, এই ১১ মাসে বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় হয়েছে ৪ হাজার ২৫ কোটি ৩০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৬৩৭ কোটি ডলার। এ হিসেবে আমদানি ব্যয় বেড়েছে ১০ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত অর্থবছরের ১১ মাসে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যে (ব্যালান্স অফ পেমেন্ট বা বিওপি) ২১০ কোটি ৩০ লাখ ডলার ঘাটতি হয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসের হিসাবে ঘাটতি ছিল ১৭৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
গত অর্থবছরের ১১ মাসে বাংলাদেশ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি থেকে আয় করেছে ৩ হাজার ১০৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২ হাজার ৯৯১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। সে হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, সাধারণত চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়। আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে কোনো ঋণ করতে হয় না। আর ঘাটতি থাকলে সরকারকে ঋণ নিয়ে তা পূরণ করতে হয়।