Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

nangalkot bridge pic--খােলা বাজার২৪।।  বৃহস্পতিবার, ০৩ আগস্ট, ২০১৭: রির্পোট নিশাতঃ নাঙ্গলকোটের গুরুত্বপূর্ণ ডাকাতিয়া নদীর উপর সাতবাড়িয়া ব্রীজের নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন না হওয়ায় এলাকাবাসীকে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার-হাজার জনসাধারণের যাতাযাতের একমাত্র সড়ক নাঙ্গলকোট-বক্সগঞ্জ-গুণবতী-বিশ্বরোড সংযোগ সড়কের সাতবাড়িয়া ডাকাতিয়া নদীর উপর নির্মিত ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় ওই অঞ্চলের জনসাধারণকে যাতায়াতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

উপজেলার নাঙ্গলকোট-বক্সগঞ্জ-গুণবতী-বিশ্বরোড সংযোগ সড়ক দিয়ে সাতবাড়িয়া, বক্সগঞ্জ, দৌলখাঁড়, ঢালুয়া ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী উপজেলা সেনবাগের জনসাধারণ সহজ পথে ঢাকা, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন থেকে ব্রীজটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর ব্রীজটির নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় এলাকাবাসীকে বিকল্প পথ হিসেবে বাঁশের সাঁকো এবং নৌকা দিয়ে পার হতে হয়। কিন্তু অতি বৃষ্টির কারণে বাঁশের সাঁকোটিও পানিতে ডুবে যায়। ফলে বর্তমানে বাঁশের সাঁকো দিয়েও যাতায়াত বন্ধ থাকায় এলাকাবাসীকে যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্রিজটির কাজ নির্মাণাধীন থাকায় ওই পথে ভারী কোন যানবাহন চলাচল করতে না পারায় ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বিকল্প পথে অধিক অর্থ ব্যয় করে মালামাল আনায়ন করায় ক্রেতাসাধাণকে চড়া দামে মালামাল ক্রয় করতে হয় বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কাজী মোঃ এয়াছিন বলেন নাঙ্গলকোট-বক্সগঞ্জ-সাতবাড়িয়া-গুণবতি-পদুয়া বিশ্বরোড সংযোগ সড়কটি ওই অঞ্চলের জনসাধারণ যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। ব্রিজ নির্মাণের কাজ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বন্ধ থাকায় জনসাধারণকে যাতায়াতে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৬৫মিটার দীর্ঘ সাতবাড়িয়া ব্রিজটির নির্মাণ কাজ ২০১৬সালের জুন মাসে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হাছান বিল্ডার্স এন্ড জামান ট্রেডার্স ব্রিজটির নির্মাণ কাজ গত ফেব্রুয়ারী মাসে শুরু করে। গত জুন মাসে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পর্যন্ত দুই পাশে মাত্র ২২টি পাইল নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছেনা বলে স্থানীয় এলাকাবাসীরা অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রকৌশলী জাবেদ হোসেন বলেন, অপ্রত্যাশিত বৃষ্টির কারণে ব্রিজের নির্মাণ কাজ সঠিক সময়ে শুরু করা য়ায়নি বিধায় নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়নি। বৃষ্টির পানি কমলে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করা হবে।