খােলা বাজার২৪। বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৭: প্রতি বছর কোটি টাকা লোকসান গুণে চলছে ওয়াটার বাস সার্ভিস। যাত্রী না পেয়ে অনেক সময় ৪৫ আসনের ওয়াটর বাস নিয়ে যাত্রা করতে হয় গন্তব্যের উদ্দেশ্যে। এতে কোটি টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে ওয়াটার বাস প্রোজেক্ট। সূত্র: ডিবিসি নিউজ
গত শুক্রবার সকালের চিত্রই ধরা যাক। সকাল ৯টায় সদরঘাট থেকে ছেড়ে গাবতলী টার্মিনাল আসা ওই ওয়াটার বাস একজনও যাত্রী ছিলো না। এভাবেই প্রতিদিন সকাল বিকাল দুটি ওয়াটার বাস চলে নদী পথে। বেশিরভাগ সময়ই যাত্রী থাকে না। অথচ প্রতিদিন ডিজেল লাগে ১৩৬ লিটার।
শুরুতে ঘাটের সংখ্যা ছিল ৭টি। এখন তা নেমে এসেছে ৩টিতে। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে সদরঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদীর নাব্যতা বাড়ানোর জন্য খরচ হয় ৩৬ কোটি টাকা। কোটি কোটি টাকা খরচ করেও কোন সুফল মিলছে না এই প্রকল্প থেকে।
২০১০ সাল থেকে ২০১৪- এই চার বছরে ১১টি ওয়াটার বাস কেনা হয় ১০ কোটি ৫২ লাখ টাকায়। যাত্রী নেই বলে এগুলো এখন নোঙ্গর করে রাখা হয়েছে বাদামতলী ঘাটে।
২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত শুধু জ্বালানি খাতেই খরচ হয় ৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। বিপরীতে যাত্রী পরিবহণ থেকে আয় হয়েছে মাত্র ৪৫ লাখ টাকা।
বিশাল অংকের লোকসানের পরও এই সেবা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন- বিআইডাব্লিউটিসির চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন শীল।