Wed. Mar 12th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৮:  রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড পরিচালনার পাশাপাশি অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে কক্সবাজারে টেকনাফ এবং উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ভিত্তিক ১২টি এনজিও’র কার্যক্রম বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এনজিও ব্যুরোর কোন রকম অনুমোদন ছাড়াই এনজিও গুলো আশ্রয় শিবিরে সন্দেহজনক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো ১২টি এনজিও’র তালিকা সম্বলিত কার্যক্রম নিষিদ্ধের চিঠি উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের হাতে পৌঁছেছে।

নিয়ম অনুযায়ী এনজিও গুলোর অনুমোদন ছাড়া কোনো রকম কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষমতা নেই দেশি-বিদেশি কোনো সংস্থার। এর মাঝে মিয়ানমার থেকে প্রাণভয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিধি নিষেধের পরিমাণ আরো বেশি। তারপরও শুধু এনজিও গুলো নয় স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত না করে শুরুর দিকে শতাধিক এনজিও কাজ করেছে রোহিঙ্গাদের নিয়ে।

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আদিল চৌধুরি বলেন, এরা মূলত একই সাথে বিভিন্ন ক্যাম্পের সংগঠিত কর দিচ্ছে এবং ওদের মধ্যে যোগাযোগের সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে তারা।

কুতুবপালং আশ্রয় শিবিরের ক্যাম্প ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, তাদের যদি আমরা নজরদারি করতে না পারি তাহলে সেটা ক্যাম্প পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের জন্য বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হবে।

এরমধ্য অনেক এনজিওর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার পাশাপাশি না অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার প্রেক্ষিতে রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবির ভিত্তিক ১২টি এনজিও কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরি বলেন, এনজিও গুলোতে সরকারের যে নীতি নিয়ম রয়েছে সেগুলোর বিরুদ্ধে কাজ করছে এবং সরকারি পলিসির বিরুদ্ধে কাজ করছে তাই এনজিওগুলোর নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

১২টি এনজিও সরকার নিষিদ্ধ করলেও এখনো রয়ে গেছে বেশকটি এনজিওর সন্দেহজনক কার্যক্রম। এসব এনজিওগুলোর কার্যক্রমগুলো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এ কে এম ইকবাল বলেন, কোন দেশ থেকে ফান্ড আসে এবং কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে প্রত্যেকটা আমরা জবাবদিহিতার মধ্য এনেছি।

কক্সবাজার উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোতে বর্তমানে ১৯০টি প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে দেশি বিদেশি ৯০টি এনজিও সংস্থা। রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের শুরু থেকে নানাভাবে সহযোগীতার কথা বলে কাজ করেছে শত শত এনজিও। ছিলোনা কোনো তদারকি। যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত সরকার ১২টি এনজিও নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া সন্দেহভাজন যারা আছে তাদের জন্য নেয়া হচ্ছে কঠোর ব্যবস্থা। এখন দেখা যাক এ সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়।