অনশনরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিকরণ ও অধ্যক্ষ সেলিমের মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
“অনশনরত ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্তিকরণ, চাকরি জাতীয়করণ ও অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া’র মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং মুক্তির দাবিতে” বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির (বাকশিস) উদ্যোগে আজ বুধবার সকালে নয়াপল্টনের স্কাউট মার্কেটের ২য় তলায় এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির (বাকশিস) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক আলমগীর হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. জাকির হোসেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির যুগ্ম মহাসচিব অধ্যক্ষ মো. সেলিম মিঞা, ঢাকা মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মাঈনুদ্দিন, অধ্যক্ষ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন, পারুল আক্তারী, মুরাদ হোসেন, জাকির হোসেনসহ জাতীয় শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে আলমগীর হোসেন বলেন, টানা ১০ দিন যাবত ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা এমমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান, ধর্মঘট ও অনশন করে চলেছে। সরকার শিক্ষকদের দাবিতে সীমাহীন উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছে।
গতকাল শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের দাবিকে কর্ণপাত না করে তাদের অনশন ভঙ্গ করার জন্য অনুরোধ জানান। অনশনরত শিক্ষকরা শিক্ষা মন্ত্রীর এই আহ্বান প্রত্যাখান করে বলেন যতদিন পর্যন্ত সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির সুস্পষ্ট ঘোষণা সরকার থেকে না দেওয়া হবে ততদিন পর্যন্ত তারা আমৃত্যু অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।
উল্লেখ্য, ননএমপিওভুক্ত ও এমপিওভুক্ত এবং সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একই পাঠ্যক্রমে এবং পাঠ্যসূচি, একই সিলেবাসে পাঠদান করানো এবং একই প্রশ্নে ও শিক্ষা বোর্ডে সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হলেও শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সরকারের চরম বৈষম্য জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষক সমাজকে হতাশ করেছে। এখন সময়ের দাবি সকল স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সকল ননএমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তকরণ ও চাকরি জাতীয়করণ।
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভূঁইয়ার সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয় এবং দাবি বাস্তবায়ন না হলে শিক্ষক সমাজকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।