Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৮:  বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মামলার রায় কি পূর্বেই নির্ধারিত' এমন প্রশ্ন রেখে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিগত কয়েক দিনে সরকারের মন্ত্রী, জাতীয় পার্টির সদস্য এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সরকারের বিশেষ দূত হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদের বক্তব্যেও মনে হচ্ছে এই সরকার পূর্বেই রায় লিখে রেখেছে? কারণ তারা বলছেন, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে যেতে হবে। তাতে মনে হচেছ দেশনেত্রীর মামলার রায় পূর্বেই নির্ধারিত। যদি তাই হয় তবে এই বিচারের প্রহসনের কোনও প্রয়োজন ছিল না। দেশে যে আইনের শাসন নেই-ন্যায় বিচার সুদুর পরাহত এমন বক্তব্যে সেটাই প্রমানিত হলো।

বৃহস্পতিবার সকালে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন।

মির্জা আলমগীর বলেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে এমন বক্তব্যে আদালত অবমাননার সামিল হলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রীর বিচার হবে প্রধানমন্ত্রী যা চাইবেন তাই। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে বলপূর্বক দেশ থেকে বহিস্কার ও পদত্যাগে বাধ্য করার মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা শেষবারের মতো নি:শেষ হয়েছে। ফখরুলের দাবী নিম্ন আদালতের বিচারকদের আচরণবিধি সরকারের ইচ্ছা মতোই হয়েছে। এর নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার মিথ্যা মামলায় রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মির্জা আলমগীর বলেন, ভোটারবিহীন নির্বাচনে স্বঘোষিত সরকার আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার লক্ষ্যে নির্বাচনের পূর্বেই বিরোধী দলকে মাঠ থেকে দুরে সরিয়ে দেয়ার হীন চক্রান্ত করছে।

বেগম খালেদা জিয়াকে নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য ২৪টি মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, তার মধ্যে দুটো মিথ্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া প্রায় শেষ পর্যায়ে। সপ্তাহে তিন দিন দেশনেত্রীকে আদালতের হাজির হওয়ার নজীরবিহীন। এই সরকার বেগম জিয়াকে ভয় করে বলেই তাকে রাজনীতি থেকে দুরে রাখতে চায়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন প্রমুখ।