খােলা বাজার২৪। বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: দেশের আদালতে বিচারাধীন মামলা ৩৩ লাখের বেশি। প্রতিনিয়তই বাড়ছে এ সংখ্যা। এর অন্যতম কারণ মামলা নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজনীয় বিচারক সংকট। অথচ এর মধ্যেও এক বছর ধরে ঝুলে আছে সহকারী জজ নিয়োগ প্রক্রিয়া। গত বছর ২০৭ জনকে সুপারিশ করা হলেও তাদের নিয়োগের গেজেট প্রকাশ হয়নি।
এ বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগীয় সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক আমাদের সময়কে বলেন, পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে গেছে। দু-একদিনের মধ্যেই আমরা এটা হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেব। হাইকোর্ট থেকে কাকে কোথায় পোস্টিং দেওয়া হবে সেটি নির্ধারণের পরই তা রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করবেন। এ প্রক্রিয়াটি দ্রুতই হয়ে যাবে।
দশম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষার সার্কুলার হয় ২০১৬ সালের ৩ মার্চ। প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয় ২০ এপ্রিল, তার পরদিনই ফল প্রকাশ পায়। এর পর ৩০ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট নেওয়া হয় লিখিত পরীক্ষা, ফল প্রকাশ ৬ ডিসেম্বর। আর ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হয় মৌখিক। চূড়ান্ত ফল প্রকাশ পায় ২৯ জানুয়ারি। যেখানে ১১৫টি পদের বিপরীতে বিচারক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা হয় ২০৭ জনকে। ওই বছরের ৫ ও ৬ মার্চ তাদের মেডিক্যাল পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার পর প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও তাদের নিয়োগের গেজেট প্রকাশ হয়নি।
সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন আক্ষেপ করে আমাদের সময়কে বলেন, রেজাল্ট দিয়েছে এক বছরের বেশি হয়ে গেল। এখনো গেজেট প্রকাশ হচ্ছে না। অথচ বিসিএস ক্যাডারের ক্ষেত্রে দুই হাজারের বেশি জনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে লাগে ৭ থেকে ৮ মাস। সেখানে আমাদের ২০৭ জনকে এক বছরেও নিয়োগ দেওয়া যাচ্ছে না। তাই দ্রুত গেজেট প্রকাশ করে পদায়নের দাবি জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই ভাবী সহকারী জজ।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক অবশ্য গত ডিসেম্বরে এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন, শিগগিরই দশম জুডিশিয়াল সার্ভিসের নিয়োগের গেজেট প্রকাশ করা হবে। কিন্তু এর পর দেড় মাস অতিবাহিত হলেও তা হয়নি। এর মধ্যেই একাদশ বিজেএস পরীক্ষায় ১৪৩ জনকে সহকারী জজ হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সূত্র : আমাদের সময়