Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। শনিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রশাসনকে দলীয়করণ করে আঞ্চলিকীকরণের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে। কিন্তু তারাও দেশের অবস্থা জানেন। প্রশাসন সুযোগ পেলে এর সমুচিত জবাব দেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় স্বাগত বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন এসব কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, পুলিশও চায় দেশে জনগণের অধিকার রক্ষা করতে। কিন্তু পুলিশকে এমনভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়, ব্যবহার করা হয়, ভয় দেখানো হয়; তারা নির্দেশ মানতে বাধ্য হয়। তা না হলে তারা চাকরি হারাবেন। 

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে সেনা মোতায়েনসহ ছয়টি শর্ত দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর হোটেল লা মেরিডিয়ানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি শর্তগুলো তুলে ধরেন।

নির্বাচনে অংশ নিতে খালেদা জিয়ার দেয়া শর্তগুলো হলো-

১. ভোট হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।

২. জনগণকে ভোটকেন্দ্রে আসার মতো পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

৩. ভোটের আগে সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

৪. নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষতা বজায় রেখে কাজ করতে হবে।

৫. ভোটের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে, সেনাবাহিনী মোবাইল ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

৬. যন্ত্রে ভোটের জন্য ইভিএম/ডিভিএম ব্যবহার করা যাবে না।

সভায় ছয় শর্ত দেয়ার পর খালেদা জিয়া নির্বাহী কমিটির সদস্যদের কাছে জানতে চান তারা এর সঙ্গে একমত কি না। এ সময় নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উচ্চ স্বরে বলেন একমত।
এ সময় ডিজিটাল আইনের নামে সত্য কথা বলার অধিকার হরণ করা হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, ডিজিটাল আইনের নামে নতুন কলাকৌশল করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা মিডিয়া, টকশোতে যে সত্য কথা বলেন এতে তাদের গায়ে কাঁটা ফোটে। তারা সত্য কথাগুলো যাতে প্রচার করতে না পারে সেজন্য আইন করে জনগণের অধিকার হরণ করছে।

খালেদা জিয়া আরও বলেন, নির্বাহী কমিটির বহু কমিটির নেতা আজ কারাগারে। জনগণের সব গণতান্ত্রিক অধিকার সরকার কেড়ে নিয়েছে। যার প্রমাণ আজকের এই সভা। আমরা তো এ সভা এখানে করতে চাইনি।