খােলা বাজার২৪। রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী চলতি বছর বিশ্বে প্রবৃদ্ধি আর্জন হবে শতকরা ৩ দশমিক ৯০ ভাগ এবং এই আগামী বছর ২০১৯ সালেও বহাল থাকবে, এমনটি প্রত্যাশা করছে সংস্থাটি।
বিশ্ব সংস্থাটি আশা করছে চলতি বছর ব্যবসা বাণিজ্য, বিনিয়োগে সুবাতাস বইবে এবং যুক্তরাষ্ট্রে কর অবকাঠামো সংস্কার করার ফলে অর্থনীতিতে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।
আইএমএফ’র ব্যবস্থপনা পরিচালক ক্রিস্টি ল্যাগার্ডে বলেন,‘চলতি বছর এবং আগামী অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি কি পরিমাণ হতে পারে তার একটা পূর্বাভাস তুলে ধরেছেন। এই বিশ্ব সংস্থা গত মৌসুমে যে ধারণা করেছিল তার থেকে শতকরা শুন্য দশমিক ২০ ভাগ বেশি হবে বলে আশা করছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর কাঠামো পরিশোধনের ফলেই প্রবৃদ্ধিতে সুবাতাস বইবে বলে মনে করছে অর্থনীতিবীদগণ।
আইএমএফ’র মতে, ২০১৭ সালে প্রবৃদ্ধি ছিল শতকরা ৩ দশমিক ৭০ ভাগ কিন্তু ব্যবসা বাণিজ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী কর ও সুদেরহার হ্রাস করার কারণেই প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ফল আশা করছে অর্থনীতিবীদগণ।
দুই মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কর নীতিতে পরিবর্তন ঘটান। ব্যবসা বাণিজ্যে শতকরা ১৪ ভাগ কর হ্রাস করেন, যেখানে করের পরিমাণ ছিল ৩৫ ভাগ, হ্রাস করে তা দাঁড়িয়েছে ২১ ভাগ।
আইএমএফ মনে করে বর্তমানে যে বাজেট ঘাটতি সেটা সাময়িক এবং বিশ্বের প্রতিটি দেশেই প্রবৃদ্ধির প্রসার ঘটবে। অর্থনীতিতে যে মন্দাভাব তা কেটে যাবে। আগামী চার বছর ২০২২ সালের মধ্যে প্রবৃদ্ধির রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।
আইএমএফ মনে করে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব বাণিজ্যের যে গতি ধারা প্রবাহিত হচ্ছে সেটা অবশ্যই কল্যাণকর। বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদনক্ষাতে ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে, আবার একইসাথে শ্রমমূল্য বেড়েছে তারপরেও আশা করা যায় প্রবৃদ্ধি ঘটবে এবং সেটা ইতিবাচক হবে।
এশিয়া এবং ইউরোপে বিস্ময়করভাবে হলেও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পেয়েছে, এসবই অর্থনীতির ইতিবাচক দিক। জার্মানী এবং জাপানের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় সাফল্য আসবে, এমনটিই প্রত্যাশা করছে সংস্থা। আইএমএফ মনে করে এই দুই দেশের প্রবৃদ্ধি ঘটবে শতকরা শুন্য দশমিক ৫০ ভাগ।
সূত্র: ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরাম