Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: নরসিংদী প্রতিনিধি মো: রাসেল মিয়াঃ নরসিংদী অঞ্চলে  আম গাছ গুলোতে মুকুল আসতে শুরু করেছে । ভরপুুুুর ফুলের সঙ্গে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল ও । আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে প্রকতি । মুকুলে সেই সুমিষ্টি সুবাস আন্দোলিত করে তুলছে মানুষের মন ।

এ অঞ্চলে প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে থেকেই গাছে মুকুল দেখা দিতে শুরু করেছে । এখন সময়ের ব্যবধানে তা আর ও বাড়ছে । গত বছরের তুলনায় এ বছর গাছে মুকুলের পরিমাণ বেশি । আমচাষি এবং সংশ্লিষ্ট কৃষি সম্প্রসারন অধিদফতর এবার আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন ।সংশ্লিষ্ট বক্তব্য ,প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবং সময়মতো পরিচর্যা হলে চলতি মৌসুমে আমের ভাল ফলন হবে ।

আর এ কারনেই আশায় বুক বেধেঁ আম চাষিরা শুরু করেছেন পরিচর্যা । তাদের আশা , চলতি মৌসুমে তারা আম থেকে অর্থনৈতিক লাভবান হবেন । নরসিংদীর সব এলাকাতেই রয়েছে আমবাগান । লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই আম বাগানের সংখ্যা বাড়ছে । তবে গড়া ওঠা নতুন আম বাগান গুলোর প্রায় বনেদি জাতের  । বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া , গোপালভাগ , ক্ষিরসাপাত ও আশ্বিনা জাতেরই গাছ বেশি হচ্ছে ।

নরসিংদী শিবপুর , মনোহরদী , বেলা ও রায়পুরা উপজেলায় বাগানের সংখ্যা বেশি । স্থানীয় আম চাষি খোরশেদ আলম জানান , এ বছরের আবহাওয়া আমের জন্য অনুকূলে রয়েছে । গত বছরের চেয়ে টানা শীত ও কুয়াশার তীব্রতা এ বছর অনেক কম ।

গত বারের মতো মৌসুমের শুরুতে শিলাবৃষ্টি ও হয়নি । এরই মধ্যে অনেক গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে । আশা করা যাচ্ছে , ফাল্গুনের মধ্যে নরসিংদী এর পার্শ্ববর্তী জেলার আম গাছ গুলোতে পর্যাপ্ত মুকুল আসবে । তবে মাঝে মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে উঠেছে । এ সময় শিলাবৃষ্টি হলে আমের মুকুলের ক্ষতি হবে । এর উপর সামনে কাল বৈশাখী ঝড়ের আশষ্কা রয়েছে । তাই আবহাওয়া ও প্রাকতিক দুর্যোগ নিয়ে যথেষ্ট শষ্কা ও কাজ করছে ।

তবে পরিস্থিতি অনূকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে জানান তিনি । বছর জুড়ে গাছের পরিচর্যা করার কারনে এখন প্রতি বছরই আমের ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে । কৃষি সম্প্রাসরন অধিদফতরের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫ থেকে ২০ দিন আগেই তারা পুরো গাছে সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালোভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছেন ।

এতে গাছে বাস করা হপার বা শোষকজাতীয় পোকাসহ অন্যান্য পোকার আক্রমন থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে । যদি সঠিক সময়ে হপার বা শোষক পোকা দমন করা না যায় তাহলে আমের ফলন কমে যেত বলে জানান এই আমচাষি  ।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান , ধান-চাল বা অন্য ফসলের মত আম উৎপাদনের কোনো লক্ষ্যমাত্রা কৃষি অধিদফতরের কাছে থাকে না ।আগামী বৈশাখ-জ্যেষ্ঠে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ অঞ্চল থেকে প্রায় দুই লাখ টন আম উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে ।