Thu. May 8th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

খােলা বাজার২৪। বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮:  বুধবার সকাল দশটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শুরু হওয়া অনশন কর্মসূচি বিকাল চারটায় শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের নির্দেশে তা সংক্ষিপ্ত করে তিন ঘণ্টা আগে বেলা একটায় শেষ হয় বিএনপির এই কর্মসূচি।

একটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপি নেতাদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙান। পরে নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে এলাকা ত্যাগ করেন।

অনশনে অংশ নেয়া বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের নেতারা বলেন, খালেদা জিয়াকে ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। তাঁদের দাবি, সরকার অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। বর্তমান সরকার খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে আবার একটি পাতানো নির্বাচন করতে চায় বলে নেতারা জানান।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন পুরান ঢাকার বকশিবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। এছাড়া রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে দশ বছর কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া রায়কে সরকারের প্রতিহিংসার ফসল আখ্যা দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে এখন পর্যন্ত চার দিন নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি। এরই অংশ হিসেবে আজ দেশব্যাপী অনশন কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত অনশন কর্মসূচিতে যোগ দিতে সকাল ১০টার আগ থেকেই প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। পরে একে একে আসতে থাকেন বিএনপি ও জোটের শীর্ষ নেতারাও।

অনশনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, নিতাই রায় চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

এদিকে বিএনপির অনশন কর্মসূচিকে ঘিরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয় সেজন্য সতর্ক অবস্থানে ছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রেসক্লাব ও আশপাশের এলাকায় অন্যান্য দিনের তুলনায় পুলিশ মোতায়েন ছিল অনেক বেশি। এ ছাড়া ছিল সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। জলকামানের গাড়িও প্রস্তুত রাখা ছিল।

অনশনে অংশ নেয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, পুলিশের অনুরোধে দুপুর একটার মধ্যে আমরা অনশন কর্মসূচি শেষ করতে বাধ্য হচ্ছি।

এদিকে ঢাকার মতো সারাদেশেও অনশন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। তাদের সঙ্গে ২০ দলের শরিকরাও অনশনে অংশ নিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সারাদেশে শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হচ্ছে বিএনপির এই কর্মসূচি। এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।