Thu. Oct 16th, 2025
Advertisements

 

 

খােলা বাজার২৪। রবিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮: তাকে সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য টলিউড পাড়ার অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীরই হয়নি। কিন্তু তাও শ্রীদেবী ছিলেন বড়ই আপন। খুব কাছের একজন। সৌজন্য তার অনবদ্য অভিনয়। সেই অভিনয়ে অনুপ্রাণিত হয়েছেন বাংলা ছবির জগতের অনেকেই। তাই আচমকা তাকে হারিয়ে ফেলে কেমন যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা।

শোকাহত অভিনেত্রী গার্গী রায় চৌধুরি বলছেন, “শ্রীদেবী নেই, এ নিয়ে আলোচনা নয়, বরং শ্রীদেবী কীভাবে আমাদের মধ্যে রয়ে গেলেন, সে কথাই আজ বলা হোক। শুনেছিলাম কোনও শট দেওয়ার আগে নাকি তিনি চোখ বন্ধ করে থাকতেন। শট শুরু হলেই চোখ খুলতেন। আর তখনই এক অসম্ভব চমক ঐজ্জ্বল্য ছিটকে বের হয়ে আসত তাঁর চোখ থেকে। সেই চমকটা নিয়েই আমি বাঁচতে চাই।”

অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র যেন মানতেই রাজি নন যে শ্রীদেবী আর নেই। তিনি বলছেন, “দারুণ একজন অভিনেত্রী ছিলেন। আসলে ছিলেন বলতে ইচ্ছা করছে না। খুব ভালবাসি তাকে। আমি বিশ্বাসই করব না যে তিনি নেই। মানবই না শ্রীদেবী প্রয়াত। আমাদের কাছে উনি যেমনটি ছিলেন, তেমনই থাকবেন।”

শ্রীদেবী প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসছিল অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের। তিনি বললেন, “মনে হচ্ছে পরিবারের কাউকে হারালাম। ছোটবেলার একটা অংশ হারিয়ে গেল আজ। ছোটবেলায় শ্রীদেবীর ভিডিও ক্যাসেট কিনে এনে তার ছবি দেখতাম। তার মতো পোশাক পরে সাজার চেষ্টা করতাম।”

শ্রীদেবীর অভিনয়ের অনুরাগী পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। বলছেন, “একজন বড়মাপের তারকা হওয়ার পাশাপাশি তিনি অত্যন্ত দক্ষ অভিনেত্রী। আর সেটাই ছিল তার হাতিয়ার। মর্মান্তিক, অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা ঘটে গেল। তাঁর প্রয়াণে সিনেমা জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল।”

মন খারাপ জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদারেরও। তিনি বলছেন, “মুম্বাইয়ে অনেকবারই তাকে সামনে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। অত্যন্ত সাদা-মাটাভাবেই থাকতেন। সহজ-সরল মনের একজন মানুষ ছিলেন। অথচ কত বড়মাপের অভিনেত্রী তিনি। তার মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলেই মনটা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।”

সুস্থই ছিলেন। শাহরুখ খানের আপকামিং ছবি ‘জিরো’র শুটিও করছিলেন সম্প্রতি। শনিবার পরিবারের সঙ্গে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাই পাড়ি দিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝপথেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন চাঁদনি।