খােলা বাজার২৪।বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১৮: শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিছুদিন আগে ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশ শুধু বড় ব্যবধানেই হারেনি, পেয়েছিল আরও একটি দুঃসংবাদ। ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন আইসিসিকে পাঠানো তাঁর প্রতিবেদনে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে বলেছেন, ‘বিলো অ্যাভারেজ’ (গড়পড়তা মানের নিচে)। একটি নেতিবাচক পয়েন্টও জুটেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট-তীর্থের ‘কপালে’। বিসিবি অবশ্য আইসিসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আজ আপিল করেছে।
প্রতিবেদনে বুন জানান, টেস্টজুড়েই উইকেটে অসম বাউন্স আর বিষম টার্ন ছিল। তিনি এ-ও বলেন, এই পিচে যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে, সেটা বোলারদের মধ্যেই, স্কিল প্রদর্শনীতে ব্যাটসম্যানের যথেষ্ট সুযোগ দেওয়া হয়নি। আইসিসি তাই মিরপুরের পাশে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়। আইসিসির পরিমার্জিত উইকেট ও আউটফিল্ড নীতিমালা অনুযায়ী, পাঁচ বছরের মধ্যে ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট হলে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে হবে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামকে।
আইসিসির ডিমেরিট পয়েন্টের বিরুদ্ধে বিসিবি আজ আপিল করেছে, যেটির শুনানি শেষ হবে ১৪ মার্চের মধ্যে। বাংলাদেশের আপিল গ্রহণ করা হবে কি না, সেটি নির্ধারিত হবে ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদন, বিসিবির প্রতিবেদন, ম্যাচের ভিডিও ও বিসিবি নিজেদের পক্ষে যে সব যুক্তি দিয়েছে—সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে।
শ্রীলঙ্কা সিরিজে একটি নেতিবাচক পয়েন্ট পেয়েছে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেটও। শুধু মিরপুর কেন, জহুর আহমেদের জন্যও কেন আপিল করেনি, এ প্রশ্নে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বললেন, ‘বোর্ড মনে করেছে মিরপুরের গুরুত্ব বেশি।’ প্রথম আলো