খােলা বাজার২৪। রবিবার, ১৮ মার্চ ২০১৮ : যুদ্ধের কারণে ইয়েমেনের ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ গৃহহীন৷ মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাদের৷ অনেকেরই সম্বল এখন ডাস্টবিনের খাবার৷ তেমনই এক পরিবারকে নিয়ে আজকের আয়োজন।
মোহাম্মেদ রুজাইকের পরিবার
ইয়েমেনের রুজাইক পরিবার প্রাণভয়ে নিজেদের ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছে লোহিত সাগরের তীরের হোদেইয়া বন্দরের কাছের একটি জায়গায়৷ আপাতত প্রাণ বাঁচাতে পারলেরও প্রায়ই সবার ভাগ্যে খাবার জোটে না৷
আয়ের পথ নেই
২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধ চলছে ইয়েমেনে৷ তবে হুতি বিদ্রোহীদের উৎখাত করে প্রেসিডেন্ট হাদিকে ক্ষমতায় ফেরাতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন বাহিনী হামলা শুরু করার পর থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে৷ ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত৷ যাঁরা বেঁচে আছেন তাদের অনেকেরই রুজি-রোজগার বন্ধ৷ অনেকেই প্রথমে রাস্তাঘাট থেকে প্লাস্টিকের বোতল বা ধাতব ক্যান বিক্রি করে সামান্য কিছু আয় করত৷ সে পথও ধীরে ধীরে সংকুচিত হচ্ছে৷
বাজার মন্দা
আগে প্রতি কেজি প্লাস্টিকের বোতল বা ধাতব ক্যান ৫০ ইয়েমেনি রিয়ালে বিক্রি করা যেত৷ এখন আর সেই দাম পাওয়া যায় না৷ কোনো দোকানেই এখন আর প্রতি কেজি প্লাস্টিক বা ধাতব বস্তু ১০ রিয়ালের বেশি দামে বিক্রি করা যায় না৷
ভরসা এখন আবর্জনার স্তূপ
ঘরে খাবার নেই, টাকাও নেই৷ তাহলে উপায়? উপায় একটা বের করেছে রুজাইক পরিবার৷ আগে বোতল আর ক্যান কুড়াতো ডাস্টবিন থেকে৷ এখন তারা খাবারও কুড়ায়৷ হ্যাঁ, অনেকদিন ডাস্টবিন থেকে কুড়ানো খাবারেই কোনোরকমে ক্ষুধা মেটায় রুজাইক পরিবার৷
কী পায় ডাস্টবিনে?
১১ বছর বয়সি আয়ুব মোহাম্মেদ রুজাইক বললো, ‘‘অন্যরা যা ফেলে দেয়, সেই খাবার কুড়িয়েই আমরা খাই, পান করি৷ আমরা মাছ, মাংস, আলু, পেঁয়াজ, ময়দা ইত্যাদি কুড়িয়ে নিয়ে রান্না করে খাই৷’’
আল্লাহর কাছে একটাই দোয়া
রুজাইক পরিবারের প্রধান মোহাম্মেদ রুজায়েক বললেন, ‘‘এই দুর্ভোগ থেকে রক্ষা পেতে আমরা চাই তারা যুদ্ধটা বন্ধ করুক৷ সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে একটাই প্রার্থনা – যুদ্ধ বন্ধ হোক৷’’ সূত্র: ডি ডব্লিউ