Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements


খোলাবাজার২৪.সোমবার ,০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮ :  বাংলাদেশে বিরোধী দল বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে কোনো ধরনের আপস মীমাংসার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকালে তার সংবাদ সম্মেলনে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপির কাছে কোনো আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে তিনি যাবেন না এবং কারান্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারেও সরকারের কিছু করণীয় নেই – সেখানে যা হবার তা আইনি প্রক্রিয়াতেই হবে।

এর আগে বিএনপি দাবি জানিয়েছিল, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে এবং সেই সঙ্গে সরকার ও সংসদ ভেঙে দিতে হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলছেন, বাংলাদেশের জন্য দুঃখজনক হলো এটা যে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগি ও নানা রকম সমস্যা দেখা যায়।

তার মতে, যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিলো তখন পরপর কয়েকটা মোটামুটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছিলো। কিন্তু এরপর থেকে অবাধ মুক্ত নির্বাচন করতে ব্যর্থ হচ্ছি। এখন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির বক্তব্যও পরস্পরবিরোধী।

তিনি বলেন, দেশে একটি অস্বচ্ছ রাজনৈতিক পরিবেশ বিরাজ করছে।

“২০১৪ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হয়তো করতে পারবেন কিন্তু তাতে রাজনৈতিক সংকট আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।”

কিন্তু বিএনপির সামনে আর কি কি পথ খোলা রয়েছে, এমন প্রশ্নে তিনি জানান, “আমাদের রাজনীতিই দুটি দলের ভেতরে পরস্পরের বিপরীতমুখী দাবি দাওয়ার মধ্যে আটকে পড়েছে।”

“কিন্তু আমরা জনসাধারণ চাইবো লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে মানে সংসদ ভেঙ্গে দিতে হবে। এটা যৌক্তিক দাবি”।

তার মতে, “প্রধানমন্ত্রীর কথাই শেষ কথা নয় বরং পর্দার আড়ালে আলোচনা হতেই পারে। সরকার পক্ষের দায়িত্ব বেশি সেহেতু তারাও একটি প্রস্তাব দিতে পারেন।”

দিলারা চৌধুরী বলেন, “সত্যিকারের বাধা হলো বর্তমান সংবিধানে নির্বাচনী সরকার ও নির্বাচনী কমিশনই বড় বাধা। এগুলো সরিয়ে দিলে হয়তো বিএনপি সমঝোতা করতে পারে।” সূত্র: বিবিসি