খোলাবাজার২৪. শনিবার ,০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ : দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এখন সবাই উদ্বিগ্ন উল্লেখ করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরে আজ বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ আজ সন্ত্রাস ও গণতন্ত্রের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে।
গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হলে সন্ত্রাসকে অবশ্যই রুখতে হবে। আবার সন্ত্রাসকে রুখতে হলে গণতন্ত্রের সঠিক চর্চায় ফিরে যেতে হবে। যা বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় জনগণের ঐকান্তিক প্রত্যাশা। শনিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কোনোভাবেই জবরদস্তিমূলক আচরণ কাম্য হতে পারে না।
সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে জোরজবরদস্তি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় হয়তো টিকে থাকা যায় কিন্তু গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয় না। গণতন্ত্র, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব আরেকটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে সম্মান জানানো। তিনি বলেন, আমরাই বলি ‘জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস’।
কিন্তু বর্তমান সময়ে জনগণের অধিকার কতটা প্রতিপালিত হচ্ছে? জনগণ কতটা স্বাধীন মনোভাব ব্যক্ত করতে পারছে? তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষিতে সরকার যতই বলুক দেশ এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে কিন্তু বিভাজনের ভয়ানক চিত্রটাও আমরা দেখছি।
এই চিত্র থেকে বেরিয়ে আসার পথই হলো দেশে গণতন্ত্র আরও সুসংহতকরণ এবং অসহিষ্ণু আচরণ থেকে বেরিয়ে আসা। একটি বিষয় পরিষ্কার যে, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এদেশের সব মানুষের অংশগ্রহণের নির্বাচন নয়। আর তাই অবশ্যই সব মানুষের অংশগ্রহণের নির্বাচনের পথ উম্নুক্ত করার প্রয়োজনীয়তাটাই এখন বেশি। আমার মনে হয় সেটি উম্নুক্ত হলেই আমাদের অনেক জাতীয় বিষয়ের মীমাংসা ও সুরাহা হবে। ক্ষমতাসীন দলের উচিত হবে সেই পরিবেশ তৈরিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করা। ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু'র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন দলের যুগ্ম মহাসচিব স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, নগর সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি মতিয়ারা চৌধুরী মিনু, যুগ্ম সম্পাদক মো. শামিম ভুইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এন. শাওন সাদেকী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।