Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

 

এবার জবিতেও হাতুড়ি পেটা!

খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,  ১০ জানুয়ারি ২০১৯ঃ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮ টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে ৪ জন। এছাড়া আরও কমপক্ষে ১১জন আহত হয়েছে।

সংঘর্ষে অংশগ্রহণকারী কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাতে জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মীরা সভাপতি তরিকুল ইসলামের ছবি ক্রপ (মূল ছবি থেকে কেটে বাদ দেয়া) করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। এরপর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরাও এর বিপক্ষে ফেসবুকে পোস্ট ও কমেন্টে বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের কর্মী উদ্ভিদবিজ্ঞান ১৩তম ব্যাচের সালমান এফ রহমান, সৈয়দ অভি, মনোবিজ্ঞান ১৩ তম ব্যাচের তানভীর, গণিত ১৩তম বিভাগের শান্ত, এবং পরিসংখ্যান বিভাগের অর্পণের নেতৃত্বে ভাস্কর্য চত্বরে থাকা সভাপতি গ্রুপের কর্মী কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার শাকিলের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। 

এরপর সভাপতি গ্রুপের কর্মীরা বিভিন্ন দিক থেকে একত্রিত হতে থাকলে ক্যাম্পাস উত্তপ্ত হতে থাকে। এক সময় ১৩তম ব্যাচের শাহিরুল উম্মি, ১২তম ব্যাচের পিয়াল এবং ১১তম ব্যাচের সানের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের উপর হামলা করে। সাধারণ সম্পাদক এতে ১২ তম ব্যাচের সাহেদ, ইতিহাস ১২তম ব্যাচের নূরে আলম এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ১১তম ব্যাচের পারভেজ আহত হয়। সংঘর্ষে পিয়ালের আঘাতে নূরে আলম মারাত্মক ভাবে আহত হয়। উল্লেখ্য, নূরে আলম এর আগেও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকার কারণে সম্প্রতি বহিস্কৃত হয়েছেন।

এর একটু পরেই দুপুর ১২ টর দিকে সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছেলেরা হাতে রড, চাপাতি, হাতুড়ি নিয়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মীদের ওপর আক্রমন করে। এতে সভাপতি গ্রুপের একাউন্টিং ১৩ ব্যাচের নাফিজ এবং হাতুড়ির আঘাতে গণিত বিভাগের নাহিদের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। 

সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদীন রাসেল বলেন, ‘বাসে বসা নিয়ে সিনিয়র জুনিয়রের মাঝে ভূল বুঝাবুঝি হয়। আমরা তা সমাধান করে দিয়েছি।’ রাসেল তার কর্মীদের হাতুড়ি, চাপাতি নিয়ে আক্রমনের বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।  

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘বাসে বসা নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল তা সমাধান করা হয়েছে।’ ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘এরকম কিছু নয়।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. নূর মোহাম্মাদ বলেন, ‘আমরা ভিডিও ফুটেজ দেখে  কঠোর ব্যবস্থা নিব। বহিস্কৃতদের ভিতর যারা ক্যাম্পাসে অরাজকতা করছে তাদের ব্যাপারেও কঠোর পদক্ষেপ নেব। বহিস্কৃতদেরকে আমরা সন্তানের মত দেখি বলেই এতদিন আমরা নমনীয় ছিলাম এবার ছাড় দেওয়া হবে না’