Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খোলাবাজার২৪,সোমবার,০৩ জুন ২০১৯ঃ ঈদ যাত্রার চতুর্থ দিন আজ। অন্যান্য বছর ভোগান্তি, যানজটের নানা চিত্র দেখা গেলেও এবারের ঈদ যাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে চিত্র পাল্টে গেছে। এ মহাসড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পেলেও যানজটের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া এখনো কোন সড়ক দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে যাত্রীদের ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক রাখতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে পাঁচটি সেক্টরে বিভাজন হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা পুলিশের সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ সড়কের ঈদের ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ ফিরতে শুরু করায় এই মহাসড়কে অনেকাটাই যানবাহনের চাপ বেড়েছে। রবিবার রাত ১২ টা থেকে সোমবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৪,৫৬৭ টি যানবাহন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন সংখ্যা ছিল ১৩,১৩০। আর উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী যানবাহন সংখ্যা ছিল ১১,৪৩৭টি।এ যান চলাচলে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৬০ টাকা। তবে এর আগে গত শনিবার রাত ১২ টায় থেকে রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২১,৯৮১ টি যানবাহন চলাচল করেছে।

এ যান চলাচলে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৪৮ হাজার ৩২০টাকা। গত শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এই মহাসড়ক ও বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে ২৫,১৮৬ টি যানবাহন চলাচল করেছে। এ যান চলাচলে সেতুর টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৬ লাখ ১৬হাজার ৮,শ টাকা।

এ প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, মহাসড়কে অনেকটাই যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও মহাসড়কের কোথাও কোন সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এর ফলে যান চলাচল রয়েছে স্বাভাবিক। এ স্বত্তেও মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের বাড়ি ফেরা নিশ্চিতে জেলা পুলিশের প্রায় সহস্রাধিক সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও পুলিশ বাহিনীকে সহায়তা করছে। মলম পার্টি ও ছিনতাইমুক্ত মহাসড়ক রাখতে সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি র‌্যাবের তৎপরতাও মহাসড়কে জোরদার রয়েছে বলেও জানান তিনি।

উলে­খ, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি জেলাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের ২৬টি জেলার অন্তত ৯০টি সড়কের যানবাহন চলাচল করে। এই মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ২০১৩ সালে দুই লেনের এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নিতকরণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১৬ সালে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দুটি সার্ভিস লেন, ২৯টি নতুন ব্রিজ, চারটি ফ্লাইওভার ও ১৪টি আন্ডারপাস সংযুক্ত হওয়ায় কাজটি এখনও চলমান রয়েছে।