Sun. Apr 20th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,শনিবার,০৬জুলাই,২০১৯ঃ  সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম কিনতে ক্রেতার পকেট থেকে গুণতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা।অথচ এক মাস আগেও যা ছিল ১০০ টাকার নিচে। গত তিন মাসের ব্যবধানে প্রতি ডজন ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০ টাকা।

কিন্তু এর পেছনে সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানাতে পারেনি বিক্রেতারা। মাছ-মাংসের বাড়তি দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিমের পাইকারি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে ডিমের সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। তবু বিক্রেতারা সরবরাহ কম বলে জানালেন। আর এটাকেই তারা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন ডিমের দাম বাড়ার জন্য।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতি পিছ ডিমের দাম রাখছেন ৮ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৮ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে। যা খুচরা বাজারে গিয়ে ৯ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তেজগাঁওয়ের পাইকারি ডিম ব্যবসায়ী মো. ছলিম মিয়া জানান, গত বেশকিছু দিন ধরেই বাজারে ডিমের সরবরাহ কম। তাছাড়া আশপাশের যেসব জেলা থেকে ডিম আসে, সেখানকার খামারিরা মুরগি মরে যাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

এ কারণে খামারিরা ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে।

তবে কারওয়ান বাজারে ক্রেতা শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, মাছ-মাংসের বাজার চড়া। ডিমই বা বাদ যাবে কেন? খামারি-ব্যবসায়ীরা মিলে সিন্ডিকেট করেই ডিমের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখানে তো দেখার কেউ নেই। যার যা খুশি ইচ্ছামতো দাম হাঁকাচ্ছে।

তবে ডিমের দাম বাড়লেও কমে গেছে মুরগির দাম। গত ১০ দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৫-২০ টাকা কমেছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি। যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৫০ টাকার কাছকাছি।

এছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫২৫-৫৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাছের বাজার আগের মতোই এখনো বেশ চড়া।

প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ ১৫০-১৮০ টাকা, রুই ২৮০-৬০০ টাকা, পাবদা ৬০০-৭০০ টাকা, টেংরা ৫০০-৭০০ টাকা, শিং ৫০০-৬০০ টাকা এবং চিতল মাছ ৬০০-৮০০ টাকা।

এ বছর এখনো তেমন বৃষ্টি না হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ প্রচুর। দামও বেশ কমে পাওয়া যাচ্ছে।

বাজারে প্রতি কেজি করলা ও উস্তে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, কাকরোল ৪০-৫০ টাকা, বেগুন ৩৫-৪০, পেঁপে ২০-৩০ টাকা, বরবটি ৪০-৫০ টাকা, কচুর লতি ৫০-৬০, ঢেঁড়স ২০-৩০ টাকা, পটোল ১৫-২০ টাকা, ঝিঙ্গা ৩০-৪০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ১৫-২০ টাকা।

কাঁচামরিচ ও পেঁয়াজের দামও বাড়েনি। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। আর দেশি পেঁয়াজের দাম রয়েছে ৩০-৩৫ টাকার মধ্যে।

তবে সালাদ জাতীয় সবজির দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। টমেটো, গাঁজর ও শশা প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।