
খােলাবাজার ২৪, বুধবার,২৪জুলাই,২০১৯ঃ ২০১৩ সালে পিরোজপুরের কৃতী সন্তান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলামকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই পুলিশ গুলি চালায়! সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-গন শিক্ষা সম্পাদক, এই ছাত্রনেতা স্কুল ও কলেজ জীবনে ছিলো পিরোজপুর ছাত্রদলের পরিচিত মুখ।
তার বাবা ছিলেন স্থানীয় বিএনপির প্রতিষ্টাতা সভাপতি।বাবার স্বপ্ন পুরনের জন্য ও উচ্চ শিক্ষার জন্য ভর্তি হন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই পড়ালেখার পাশাপাশি ছাত্রদলের সভা, মিটিং, মিছিলে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখতে শুরু করে সিরাজুল ইসলাম। খুব অল্পদিনের মধ্যেই সিরাজুল ইসলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল ছাত্রনেতাদের নজর কাড়ে।
২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়, বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে কটুক্তি করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, মিছিলের অগ্রভাগেই ছিল এই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ।
পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মিছিলে অতর্কিত ভাবে গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছুড়ে। আর মিছিলের সামনে থাকা সিরাজুল ইসলাম গুলিতে মাটিতে পড়ে এবং পুলিশ নির্মম ভাবে সিরাজুল ইসলাম সিরাজের পেটে অস্র ঠেকিয়ে গুলি করে।
সিরাজুল ইসলাম সিরাজ গুলি বিদ্ব অবস্থায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের সামনে পড়ে থাকে। গুলিতে সিরাজের পেট থেকে মুহুর্তেই নাড়িবুড়ি বেড়িয়ে আসে।পরে এই ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে এক পথচারীর মহিলা রিক্সসা করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ নিয়েযায়।
সংবাদ পেয়েই ছুটে যান সেখানে বিএনপি মহাসচিব সহ সিনিয়র অনেক নেতৃবৃন্দ, সিরাজের চিকিৎসার সর্বক্ষণিক খোজ খবর সহ সমস্ত দায়িত্ব নেন বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
দীর্ঘ চিকিৎসা,লাইফ সাফোর্ট ও শরীরের অনেক অংশ কেটে ফেলা,পাঁচটি মারাত্মক অপারেশনের পর কিছুটা সুস্থ হয় সিরাজুল ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী এই ছাত্রনেতা সুস্থ হয়েই প্রথমে সাক্ষাৎ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়ার সাথে।বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম জিয়া সিরাজুল ইসলাম সিরাজের চিকিৎসা ও শরীরের খোজ খবরনেন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আগামী কেন্দ্রীয় কমিটি তাকে মূল্যায়ন করা হবে বলেন।
বর্তমানে এই ছাত্রনেতার সরব উপস্থিতি ও স্লোগানে মুখরিত রাজপথ। সিরাজ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের এখন এক আদর্শের নাম।সিরাজ বিএনপিসহ সকল সংগঠনের এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রোগ্রামে স্লোগানে ধরে রাজপথ কাপিয়েদেয় তাতে প্রোগ্রাম হয়ে উঠে উৎসবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী এই ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম বর্তমানে বিএনপি ও ছাত্রদলের প্রতিটি পোগ্রামে অশংগ্রহন করে তার সরব উপস্থিতির জানানদেয়।
সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-গন শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক।
আগামী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের কমিটিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শ্লোগান মাস্টার গুলিবিদ্ধ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসাবে ব্যপক আলোচনায় আছে।
দেশনায়ক তারেক রহমান জুনিয়র ও নিয়মিত ছাত্রদের দিয়ে ছাত্রদল গঠনের পরিকল্পনায়।বর্তমান রাজনীতিক প্রক্ষাপটে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল একটি বিশাল বলয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান ছাত্রনেতাদের দাবী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা অপেক্ষাকৃত তরুন শ্লোগান মাস্টার গুলিবিদ্ধ এই সিরাজুল ইসলাম সিরাজকে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক করার জোর দাবী জানিয়েছেন।
আগামীকাল ২৫শে জুলাই সিরাজুল ইসলামের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ৬ম বর্ষ, এই দিনে মেধাবী তরুন এই ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজের কাছে খোলাবাজার২৪ ডট কমের প্রতিবেদক তার শারীরিক ও রাজনীতির কথা জানতে চাইলে সিরাজুল ইসলাম বলেন, “শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও তার পরিবারের আমার ভালবাসা এবং আস্থার জায়গা।
অতীতেও রাজপথে ছিলাম বর্তমানেও আছি ,ভবিষ্যতে ও থাকবো, প্রয়োজনে আবারও রক্তঝরাতে প্রস্তুত, দল যদি আমাকে সঠিক মূল্যায়ন করে কোন দায়িত্ব অর্পন করে তা নিজের জীবন দিয়ে হলেও রক্ষা করার চেষ্টা করবো”।
তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তৃর্নমূলের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে আমার উপরে যে দায়িত্ব দেয়া হবে তা সঠিক ভাবে পালন করার চেস্টা করব।আমি মনেকরি তৃর্নমূল নেতা কর্মীরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রাণ।তাই সার্বক্ষনিক ভাবে আমি চেষ্টা করি তাদের সাথে যোগাযোগ রাখতে।আর আমাকে মুল্যায়ন করা হলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের তৃর্নমূল নেতা কর্মীরাও উজ্জীবিত হবে।পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপির জন্য কিছু করার চেস্টা করবো।