বাতের ব্যথায় বা কোনো আঘাতপ্রাপ্ত স্থানে সরিষার তেলে রসুন গরম করে ম্যাসাজ করলে ব্যথা লাঘব হয়। দাঁতের ব্যথায় রসুন ব্যবহারে ব্যথা কমে যায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা রসুনের গুণাগুণ নিয়ে গবেষণা করে দেখেছেন যে, রসুনের রোগ প্রতিরোধ ও রোগ নিরাময় দুটো গুণই রয়েছে। সম্প্রতি গবেষণায় জানা গেছে, রসুন একাধারে ভাইরাসরোধী, ছত্রাকরোধী এবং ব্যাকটেরিয়ারোধী পেনিসিলিনের মতো জীবাণুনাশক।
ইকোলাই এবং টাইফয়েড জীবাণু ধ্বংস করার মতো ক্ষমতা রাখে রসুন। রসুন খেলে অন্ত্রে পাচক রস নিঃসরণ বেশি হয় যা হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। আমাশয় রোগে রসুন খেলে অন্ত্রের জীবাণু ধ্বংস হয়ে পেটের সমস্যা নিরাময় হয়। চামড়ায় আক্রান্ত ক্ষতস্থানে কাঁচা রসুনের রস ব্যবহার করলে ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস হয়ে দ্রুত নিরাময় করে। পুরনো কাশি বা ব্রঙ্কাইটিসে নিয়মিতভাবে কাঁচা রসুন খেলে শ্বাসতন্ত্রে জমে থাকা কফ বের করে দিয়ে দ্রুত আরোগ্য করে। যারা নিয়মিত রসুন খান তাদের খাবারে রুচি বাড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রসূতি মাদের নিয়মিত রসুন খাওয়ার ফলে শিশুর দুধপান করার আগ্রহ অনেক বেড়ে যায় এবং দীর্ঘ সময় দুধপান করে থাকে। পায়ের তলায় কড়া নিরাময়ে রসুনের আছে অসাধারণ ক্ষমতা। কাঁচা রসুনের কোয়া কুচি করে কড়ার ওপর বসিয়ে আটকে দিলে এক সপ্তাহ পর দেখা যাবে কড়া অনেকটা নরম হয় ও ব্যথা লাঘব হয়।
রসুনের গুণের শেষ নেই। প্রতিদিন কয়েক কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস করুন, কাঁচা খেলেই ভালো। অগোচরে অনেক শারীরিক সমস্যা এমনি সেরে যাবে।