অন্যদিকে বাংলাদেশ এই ম্যাচ জিততে হলে ইতিাস গড়তে হবে। কেননা, চতুর্থ ইনিংসে কখনোই ২১৫ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি বাংলাদেশ। সেই সাথে এ মাঠে ৩১৭ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি কোনো দল।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩৭ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামে আফগানার। কিন্তু শুরুটা ভালো করতে দেননি সাকিব। এক ওভারে তুলে নিলেন তাদের দুই ব্যাটসম্যান। সেই চাপ সামলে নেন আসগান আফগান ও ইব্রাহিম জাদরান। দু’জনে ১০৮ রানে পার্টনারশিপ গড়ে তুলেন। তবে, ফিফটি করে আফগান ফিরলেও ক্রিজে অবিচল ছিলেন ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান। তরুণ অফ স্পিনার নাইম হাসানের বলে মুমিনুল হকের তালুবন্দি হয়ে শেষ হয় ইব্রাহিম জারদানের ২০৮ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংস।
অন্যদিকে অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ নবী টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৮ রান করে মিরাজের বলে ধরা পড়েছেন মুমিলুলের হাতে। এরপর ক্রিজে আসেন সফরকারীদের অধিনায়ক রশিদ খান। তিনি ওয়ানডে স্টাইলে ২২ বলে ২৪ রানে ইনিংস খেলে তাইজুলে অসারণ ডেলিভারিতে সরাসরি বোল্ড হন টেস্টে সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক। আফগানদের আরেক লেগ স্পিনার সাকিবের লিগ বিফোরে পড়েন। ১৪ রান করেছেন এই লেগি। এরপরই আলো স্বল্পতার ২০ মিনিট আগে খেলা শেষ করে দেন দুই আম্পায়ার।
স্কোর:
আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস; ২৪২/১০ সাকিব ৫৮/৩, মিরাজ ৩৫/২ নাঈম ৬১/২ ।
আফগানিস্তান প্রথম ইনিংস: ৩৪২/১০ রহমত শাহ ১০২, আসগার আফগান ৯২; তাইজুল ইসলাম ১১৬/৪, নাঈম হাসান ৪৩/২,৬৪/২।
আফগানিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস : ২৩৭/৮ আসগর আফগান ৩৯, ইব্রাহিম জাদরান ৮৭, আফসার জাজাই ৩৪, রশিদ খান ২৪, কায়েস আহমেদ ১৪, ইয়ামিন ০* ; সাকিব ৫৩/৩ নাঈম ১৭/২, তাইজুল ৬৮/২।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ২০৫/১০ মুমিনুল হক ৫২, মোসাদ্দেক ৪৮ ; রশিদ খান ৫৫/৫।