
এ সুবিধা বাতিলের ফলে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এখন চাইলে গণভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না। সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে অন্যদের মতো তাদেরও আলাদা অস্থায়ী পাস নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখার জন্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও অঙ্গ-সহযোগী এবং ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাদের মৌখিকভাবে অনুমতির পাশাপাশি একটি তালিকা রয়েছে।
ঐ তালিকার থাকা ব্যক্তিরা চাইলেই গণভবনে আসা-যাওয়া করতে পারেন। তালিকা থেকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত শনিবার বিতর্কিত কর্মকান্ডের কারণে গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। সে সভায় শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বলেও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
সংগঠন পরিচালনার ক্ষেত্রে অযোগ্যতা, অদক্ষতার অভিযোগও রয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেরিতে যাওয়া এমনকি আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের পরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার পর বির্তক এড়াতে পারেনি ওই দুই নেতা। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক রাব্বানীকে প্রটোকল না দেওয়ায় সূর্যসেন হলের কয়েকটি কক্ষে তার অনুসারীরা তালা দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
সর্বশেষ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভনের গাড়িতে ওঠাকে কেন্দ্র করে মারামারিতে জড়ান ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।
এ সময় দায়িত্বরত এক সাংবাদিককে শোভনের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় এবং সাংবাদিকের মোবাইল ফোন থেকে ভিডিও ডিলিট করা হয়।
গত বছরের ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে ছাত্রলীগের সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদী আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ওই কমিটি নিয়ে বির্তক ও সমালোচনা রয়েছে।