খােলাবাজার ২৪,বুধবার,৩০অক্টোবর,২০১৯ঃঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: চলছে মাছ ধরা উৎসব। ঠাকুরগাঁওয়ের টাংগন ব্যারেজের বাঁধ খুলে দেয়ায় মাছধরা উৎসবে মেতেছেন স্থানীয়রা। সপ্তাহব্যাপী চলবে এ উৎসব। গতকাল ভোর থেকে সারাদিন সদর উপজেলার রাজাগাঁও এলাকায় মাছ শিকারে নামেন নানা বয়সী মানুষ। এ সময় ভেলা ও ছোট নৌকায় চড়ে জাল দিয়ে মাছ ধরেন তারা। দেশীয় প্রজাতির এই মাছ বিক্রির জন্য পাশেই বসে হাট।
জানা যায়, কৃষকের সেচ সুবিধায় ১৯৮৫ সালে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সীমান্তে ৫টি সুইচ গেট বিশিষ্ট একটি ব্যারেজ নির্মাণ করা হয়।
বছরের নির্দিষ্ট একটি সময়ে এই ব্যারেজ থেকে সেচ সুবিধা নিয়ে আশপাশের ৮ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ হয়। পরে খুলে দেয়া হয় ব্যারেজের স্লুইচ গেট। এ সময় মাছধরা উৎসবে মাতেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম ও মো. আলমগীর জানান, আমরা প্রতি বছর এই সুই গেট খোলার অপেক্ষা করি অধীর আগ্রহে। কারণ যেদিন গেট খোলা হয় সেদিন থেকেই মৎস্য শিকার উৎসব শুরু হয়। স্থানীয় ও দুর দুরান্ত থেকে আসা অসংখ্য মৎস্য জীবিব ও সৌখিন মৎস্য শিকারীরা এখানে এ উৎসবে এসে মাতোয়ারা হন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই উৎসব সপ্তাহ ব্যাপি চলবে বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে রাজাগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মৎস্য উৎসব শুরু হয়েছে। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে আমাদের এলাকায় এই উৎসব হয়। আমরা স্থানীয়ভাবে মৎস্যজীবি ও মৎস্য শিকারীদের নিরাপত্তা ও নির্বিঘেœ উৎসবে অংশ নেওয়ার ব্যবস্থা করে আসছি। আশা করি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মৎস্য উৎসব সুন্দর ও সফল হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বর্ষা মৌসুমে বাধটিতে পানি ধরে রেখে দুটি ক্যানেলের মাধ্যমে ২ হাজার হেক্টর কৃষকের জমিতে সেচ সুবিধা দেয়া হয়। পানির প্রয়োজন শেষ হলে ছেড়ে দেয়া হয় পানি। আর বাধটির উজানে ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধরে রাখা পানি নেমে গেলে এলাকাবাসী ও জেলেরা মাছ শিকার করে এসময়। এদিনটির জন্য অপেক্ষা করেন সবাই।