Tue. Apr 22nd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪, শনিবার, ০৯নভেম্বর, ২০১৯ঃ পিরোজপুর জেলা প্রতিনিধিঃপিরোজপুরে শনিবার দুপুর থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে মুসলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে বইছে হালকা বাতাস। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপির নির্দেশে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে জেলায় ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য ৭ উপজেলার খোলা হয়েছে কন্টোলরুম। জেলায় সরকারীভাবে ২০৫টি এবং বেসরকারীভাবে ২৩টিসহ মোট ২২৮টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুপুরের পর থেকে জেলার চরাঞ্চল এবং নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

জনগণকে সচেতনতা ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য দুপুর থেকে জেলা শহরসহ ৭ উপজেলার সর্বত্র তথ্য বিভাগ, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট, স্কাউট, সিপিপি’র সদস্যরা মাইকিং করে চলছে। বিভিন্ন সমজিদ থেকেও মাইকিং করা হচ্ছে। জেলায় ১২৭৫ জন সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবকসহ ১৯০০ স্বেচ্ছাকর্মী ‘বুলবুল’ প্রভাবে পাশে থাকার জন্য প্রস্তুত রয়েছে এবং ১৬৯টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর প্রভাবে জেলায় ক্ষতি কমিয়ে আনার জন্য পিরোজপুরে জেলা প্রশাসন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপির নির্দেশে দূর্যোগ পরবর্তী করণীয় বিষয়ে শনিবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা হয়েছে।জেলার ২২৮টি সাইক্লেন শেল্টার খুলে দেয়া হয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারে আসা লোকজনের জন্য শুকনো খাবার ও খাবার পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপির নির্দেশে দূর্যোগ পরবর্তী করণীয় বিষয়ে ঘূর্নিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জেলার ৭ উপজেলায় জরুরী ভিত্তিতে দূর্গত লোকজনের খাবার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

এদিকে, শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলার বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টারে প্রায় ৫০ সহস্রাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলায় আশ্রয় গ্রহণকারীদের সংখ্যা ৪০ হাজারের উপরে। পিরোজপুর জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা মাঠপর্যায়ে গিয়ে লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসছেন।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপির নির্দেশে দূর্যোগ পরবর্তী করণীয় হিসাবে জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিরাজুল ইসলাম বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আসা লোকজনের জন্য চিড়া, মুড়ি, গুড়সহ শুকনো খাবার, পানি, দিয়াশলাই, টর্চ লাইট, মোমবাতির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্ধ্যার পরে তিনি নিজেই বিভিন্ন সাইক্লোন শেল্টার ঘুরে কেন্দ্রে আসা লোকজনের খোঁজ খবর নিচ্ছেন এবং খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছেন।