Wed. Sep 3rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার ২৪,বুধবার,২০নভেম্বর,২০১৯ঃ নতুন সড়ক পরিবহন আইন সংশোধনের দাবিতে চলমান ধর্মঘট প্রত্যাহার করা শুরু হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে টানা ৮ ঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর অবশেষে বেলা ২টায় অবরোধ তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এরপর থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে শ্রমিকরা সরে যেতে শুরু করে। বর্তমানে ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন শুরুর ঘোষণার পর থেকেই অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটে চলে যায় শ্রমিকরা। ঢাকাসহ সারাদেশে এই অচলাবস্থা তৈরি হয়। দূরপাল্লার বাসগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এতে দেশজুড়ে চরম ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ মানুষ। তবে কাছের দূরত্বে বা রাজধানীতে কোনোমতে ভ্যান, রিকশায় ভর করে মানুষ যাতায়াত করেন।

নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহন বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও না পেয়ে হাঁটতে শুরু করে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন রেখে অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল।

জানা গেছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ওই কর্মবিরতিতে সংহতি প্রকাশ করে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা সাইনবোর্ড এলাকায় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন ব্যক্তিমালিকাধীনসহ বেসরকারি গাড়ি চলাচল করছিল। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন ফেলে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ঢাকামুখী রাস্তা বন্ধ করে দেয়। এতে করে শিবু মার্কেট থেকেই এ সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। অতিষ্ঠ হয়ে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে শুরু করেন।

পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা গলায় ফাঁসি নিয়ে পরিবহন চালাব না। কারণ পরিবহন চালান একটি সেবা। আমরা মানুষকে সেবা দেয়। আর কেউ ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। তার পরও কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। আবার লাইসেন্স, গাড়ির কাগজসহ বিভিন্ন কিছুর জন্য হাজার গুণ জরিমানা ধার্য করেছে। এগুলো কীভাবে পরিশোধ করব। আমরা সারা মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারি না। ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হলে গাড়িসহ সংসারের জিনিসপত্র বিক্রি করতে হবে। এভাবে গাড়ি চলানো সম্ভব নয়।

এদিকে অবরোধকারীরা জানান, আমাদের দাবির প্রতি অবিচল। কিন্তু বুধবার মন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠক হবে। এই কারণে আপাতত সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবারো অবরোধ করা হবে।