খােলাবাজার ২৪,বৃহস্পতিবার,২১নভেম্বর,২০১৯ঃ আন্তর্জাতিক মানে উপনীত হলো নবরূপে সজ্জিত রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন। ঢাকার নবাব আবদুল গনি রোডে অবস্থিত এবং মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর নামে নামকরণকৃত প্রায় চার দশকের পুরনো এ মিলনায়তনটি সংস্কারের মাধ্যমে আধুনিকায়নের জন্য চলতি বছরের মার্চ মাসে কাজ শুরু করে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন গণপূর্ত অধিদপ্তর। ২০২০ সালের জুন মাসে শেষ হবার কথা থাকলেও নির্ধারিত মেয়াদের প্রায় সাত মাস পূর্বে মিলনায়তনটির সংস্কার ও আধুনিকায়ন কাজ শেষ হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর ২০১৯) দুপুরে নবসজ্জিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন পরিদর্শন করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, এমপি। এসময় তাঁর সাথে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মোঃ ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ সাহাদাত হোসেন, স্থাপত্য অধিদপ্তরের প্রধান স্থপতি আ স ম আমিনুর রহমান, সাবেক প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসিরসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ এবং সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগণ উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে মন্ত্রী সম্পূর্ণ মিলনায়তন ঘুরে দেখেন এবং এটি পরিপূর্ণভাবে ব্যবহার উপযোগী করে তোলার জন্য কোন ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়েছে কীনা তা খতিয়ে দেখে তা তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন। আগামী ৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবসজ্জিত ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনসহ এখানে বেগম রোকেয়া দিবস ও বেগম রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ঢাকার অন্যতম আধুনিক মিলনায়তনে পরিণত হতে যাওয়া ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন আধুনিকায়নের জন্য সিঙ্গাপুর থেকে অ্যাকুয়েস্টিক ডিজাইন করে আনা হয়েছে। এতে প্রতিবন্ধীবান্ধব আসন ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সুবিধার্থে তাদের হুইল চেয়ার বহনযোগ্য লিফট স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া এখানে অত্যাধুনিক সাউন্ড সিস্টেমসহ যুগোপযোগী অডিও আউটপুটের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন লাইটিং এর ব্যবস্থা। মিলনায়তনে একটি ভিভিআইপি অফিস ও দুটি কনফারেন্স রুম নির্মাণসহ নিরাপত্তা সিসিটিভি, নেটওয়ার্কিং ওয়াইফাই ও এলইডি স্ক্রীন স্থাপন করা হয়েছে। রূচিশীল ও আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী সংস্কারের মাধ্যমে এ মিলনায়তনে পরিশীলিত ও মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে।