খােলাবাজার ২৪, শুরবার,২২নভেম্বর,২০১৯ঃ চাল, শীতের সবজির দামের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে বাজার নিয়ে সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা। অন্যদিকে, ক্রেতা নেই, সরবরাহ বেশি, তারপরও কমেনি পেঁয়াজর দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব রকম চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২ থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। শীত চলে আসলেও গাজর, ফুলকপি, টমেটো দাম অবেশ্বাস্য রকমের বেশি।
বাংলাদেশের বাজার বিশ্লেষণ করতে গেলে অর্থনীতির ধ্রুপদী সব তত্ত্বগুলো বাতিল করে নতুন বই লিখতে হবে। বাজার ভর্তি পণ্য, ক্রেতাও সেই অনুপাতে কম, তারপরও আকাশছোঁয়া দাম। নভেম্বরের শেষ ভাগে এসেও শসা বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে, গাজর-টমেটো ৮০ টাকা করে, ছোট ছোট ফুলকপি ৫০ টাকা, বাধাকপি ৬০ টাকা। যদিও এতটুকুও কমতি নেই সরবরাহের। কারণ জানতে গেলে দোকানিরা বলেন একেকবার একেক কথা।
দুই মাসের তাণ্ডবেও মন ভরেনি পেঁয়াজ কেলেঙ্কারির হোতাদের। দাম কমার কোন নমুনাই নেই। কিন্তু দেশের খাদ্য নিরাপত্তা যে চালের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, সেই চালের বাজারই যখন অস্থিতিশীল তখন হতাশা সীমা ছাড়ায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব রকম চালের দাম বেড়েছে এক থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত। মিল মালিকদের বাজারের এত শত অনিয়ম নিয়ে মন খুলে কথা বলতেও ভয় ক্রেতাদের। বাজারের নিয়মতান্ত্রিক ডাকাতির হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সরকারি সংস্থাগুলো কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, এমন আশাও এখন ফিকে হয়ে আসছে সাধারণ মানুষের।