Mon. Apr 21st, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,সোমবার,১৬ডিসেম্বর,২০১৯ঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ৪৯তম বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেছেন।

রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এ কুচকাওয়াজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন কুচকাওয়াজ পরিচালনা করে।

রাষ্ট্রপতি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল আকবর হোসেনকে নিয়ে একটি খোলা জিপে করে বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। সর্বস্তরের মানুষ ২ ঘণ্টার এই কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।

রাষ্ট্রপতি বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ এবং সেনা ও নৌবাহিনীর বিমানের এবং র‌্যাবের হেলিকপ্টারে অ্যারোবেটিক ডিসপ্লে প্রত্যক্ষ করেন। এছাড়া আকাশ থেকে সেনাবাহিনীর ছত্রিসেনার অবতরণও প্রত্যক্ষ করেন।

বিমান বাহিনীর এয়ার ভাইস মার্শাল এম সাঈদ হোসেনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিগ-২৯ বিমানের মনোমুগ্ধকর ফ্লাইপাস্ট এবং বাদ্যযন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণকারী কন্টিনজেন্ট নেতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় চার নেতা এবং ৭ বীর শ্রেষ্ঠের প্রতিকৃতি দিয়ে প্যারেড গ্রাউন্ড সাজানো হয়।

বিজয় দিবসের প্রধান এ রাষ্ট্রীয় আয়োজনে যোগ দিতে প্রথমে প্যারেড স্কয়ারে আসেন প্রধানমন্ত্রী। পরে রাষ্ট্রপতি। সেনাপ্রধান ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীকে নিয়ে রাষ্ট্রপ্রধানকে বিজয় দিবস কুচকাওয়াজে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী। পরে প্যারেড কমান্ডারের অনুরোধে বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি। এরপরই শুরু হয় বর্ণিল কুচকাওয়াজ।

এর আগে সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং তিন বাহিনী প্রধান তাঁকে স্বাগত জানান। ১০টা ২৮ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্যারেড গ্রাউন্ডে পৌঁছলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য এবং তিন বাহিনী প্রধান তাঁকে স্বাগত জানান।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, মন্ত্রী, কূটনৈতিক, মুক্তিযোদ্ধা এবং বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন ভারতীয় যোদ্ধা এবং রুশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি প্রতিনিধিদলও কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করে।