Wed. Apr 23rd, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements

খােলাবাজার২৪,শনিবার,২৮ডিসেম্বর,২০১৯ঃ ডাচ্-বাংলা ব্যাংক উচ্চ-মাধ্যমিক ও  স্নাতক পর্যায়ে মাসিক বৃত্তির পরিমান ৫০০/- (পাঁচশত) টাকা হারে বৃদ্ধি করেছে। বর্ধিত হার বর্তমানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তিপ্রাপ্ত সকল ব্যাচের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। বর্ধিত হার অনুযায়ী স্নাতক পর্যায়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীগন প্রতিমাসে ৩,০০০/- (তিন হাজার) টাকা করে এবং উচ্চ-মাধ্যমিক পর্যায়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীগন ২,৫০০/- (দুই হাজার পাঁচ শত) টাকা করে বৃত্তি পাবেন। এছাড়াও, বর্তমান হার অনুযায়ী বাৎসরিক শিক্ষা উপকরণ ও পোশাক পরিচ্ছদের জন্য অনুদান পাবেন। স্নাতক পর্যায়ের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীগন স্নাতককোত্তর পর্যায়ে যেমন- মাস্টার্স, এম.ফিল ও পি.এইচ.ডি পর্যায়েও ন্যুনতম যোগ্যতা অর্জন সাপেক্ষে বৃত্তি পাবেন। নতুন এই বর্ধিত হারে বৃত্তি প্রদান করতে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান বাবদ বাৎসরিক খরচ বৃদ্ধি পাবে ১০ (দশ) কোটি টাকা।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ২০১৯ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়/কলেজে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত ৩,০১৮ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি প্রদান করেছে। ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ইং তারিখে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর-১০, ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বৃত্তিপত্র বিতরণ করা হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক, এম.পি. প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তিপত্র বিতরণ করেন। উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব সায়েম আহমেদ।

সামাজিক কল্যাণ কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী ও আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশী ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে বৃত্তি প্রদান করে আসছে। এ পর্যন্ত মোট ৬২,৭৫২ জন শিক্ষার্থী ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তির সুযোগ পেয়েছে যার মধ্যে বর্তমানে বিভিন্ন শিক্ষাস্তরের ১৯,৫২৪ জন শিক্ষার্থী বৃত্তির সুযোগ গ্রহণ করছে।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মাননীয় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ব্যাংকের অন্যান্য সামাজিক ও কল্যাণমূলক কার্যক্রমের কথা উল্লেখ করেন। তিনি ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ধারাবাহিক সামাজিক ও জনকল্যাণমূলক কাজের প্রশংসা করেন এবং এ বৃত্তি প্রকল্পকে দেশের দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের কল্যাণে আর্থিক খাতের অনন্য দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন। দেশের অন্যান্য কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সমাজের কল্যাণে এ ধরনের কর্মসূচী গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বৃত্তিপ্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অভিনন্দন জানান এবং তারা প্রকৃত শিক্ষায় আলোকিত হয়ে দেশ গঠনে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবে-এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ব্যাংকের চেয়ারম্যান জনাব সায়েম আহমেদ বলেন, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক যখন দেখল অসংখ্য শিক্ষার্থী শিক্ষাক্ষেত্রে সমান সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তখনই ব্যাংক এই শিক্ষাবৃত্তি চালু করেছিল। মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও অর্থনৈতিক, ভৌগলিক এবং সামাজিক কারণে এই সব শিক্ষার্থীরা তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে না। মেধায় তাদের কমতি নেই, কিন্তু আর্থিক সংকটের জন্য মেধাকে কাজে লাগানোর সুযোগ পাচ্ছে না তারা। তিনি আরো বলেন, এই অনুষ্ঠান ভবিষ্যতে তাদেরকে আরো ভাল কিছু করার প্রেরণা ও উৎসাহ যোগাবে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য তিনি মাননীয় মন্ত্রী এবং সকল অতিথিবৃন্দকে ধন্যবাদ জানান।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব আবুল কাশেম মোঃ শিরিন বৃত্তিপ্রাপ্ত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অভিন্দন জানান এবং আগত সম্মানিত অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপনী ঘোষণা করেন।