
নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে স্লোগানে স্লোগানে উত্তপ্ত নয়াদিল্লির রাজপথ। সোমবারও বিতর্কিত আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের ঐক্যের জানান দেন ভারতবাসী। ধর্মনিরপেক্ষ ভারতে কোন ভাবেই অসাংবিধানিক এই আইন মেনে নেয়ে হবে না বলে হুঁশিয়ার করেন বিক্ষোভকারীরা।
তারা বলছেন, আমরা ভারতীয়, আমরা এক এবং আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। ধর্ম কখনো আমাদের আলোচনার বিষয় নয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে এই ধর্মের কারণেই আমাকে এখন মুসলিমদের প্রতি সহমর্মিতা জানাতে হচ্ছে।
তারা বলেন, আমাদের এই প্রতিবাদ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও জাতীয় জংসংখ্যাপঞ্জী এনপিআরের বিরুদ্ধে। এটি দিয়ে আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করা হচ্ছে যা অযৌক্তিক এবং অমানবিক।
সংবিধান রক্ষার আহ্বান জানিয়ে প্রতিবাদ হয় মহারাষ্ট্রের পুনেতেও।
বিরোধীরা বিতর্কিত আইনকে অসাংবিধানিক বললেও নাগরিকত্ব আইনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন বিজেপির সমর্থকরা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালে চলমান আইনবিরোধী বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে পালটা বিক্ষোভ হয়। নতুন আইনে মুসলিমদের প্রতি বৈষম্য করা হলেও তাদের দাবি, সংশোধিত আইনের মধ্য দিয়ে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের অধিকার নিশ্চিত হবে।
এদিকে উত্তর প্রদেশে আইনবিরোধীদের ওপর পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে সমাজবাদী দলের নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন, যে কোন মূল্যে এনআরসি ও জনসংখ্যাপঞ্জী এনপিআর প্রতিহত করবে তার দল।
সমাজবাদী দলের প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, এনআরসি আর এনপিআর যাই বলিনা কেন এগুলো দরিদ্র, সংখ্যালঘু ও মুসলিমদের বিরুদ্ধে। প্রয়োজন হলে আমিই সবার আগে এগিয়ে আসব। আমি কোন ফরম পূরণ করবো না।
দেশজুড়ে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনবিরোধী বিক্ষোভের মধ্যেই নিজেদের ঐক্যের জানান দিলেন কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা রাহুল গান্ধী, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিআইয়ের ডি রাজা, আরডেজির তেজস্বী যাদবসহ এক ঝাঁক বিরোধী নেতা। ঝাড়খণ্ডে সদ্য অনুষ্ঠিত বিধানসভার নির্বাচনের পর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা’র কার্যকরী সভাপতি হেমন্ত সোরেনের শপথ অনুষ্ঠানে বিরোধী নেতারা ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের একতা প্রকাশ করেন।