খােলাবাজার২৪,রবিবার,০৫জানুয়ারি ,২০২০ঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেগম জিয়ার বোন সেলিমা ইসলাম।
তিনি বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে জামিন না দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার যে চিকিৎসা দরকার এখানে সে চিকিৎসা হচ্ছে না। চিকিৎসা না হলে কেমন করে বাঁচবে সে?
তিনি বলেন তার স্বাস্থ্যের আগের চাইতে আরো অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। সেদিন তো তার ফাস্টিং বললাম ১৫ আজকে ১৮। তিনি হাত সোজা করতে পারছে না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা এবং দুই হাটু অপারেশন করা হয়েছে। হাটুতেও ব্যথা হাঁটু ফুলে গেছে সে পা ফেলতে পারছে না।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান। এর আগে বিকেল তিনটায় তার স্বজনরা হাসপাতালে প্রবেশ করে।
স্বজনদের মধ্যে রয়েছেন, খালেদা জিয়ার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মীলা সিথী,ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, খালেদা জিয়ার নাতী, সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম, নাতনী আরিফা ইসলকম প্রমুখ।
জামিনের ব্যাপারে বেগম জিয়ার সাথে স্বজনদের কোন কোন কথা হয়েছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, সেদিন তো জামিন দিলো না এ বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।
তিনি জানান বেগম জিয়ার কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে কিছু খাচ্ছে না এবং খেলেও তা বমি করে ফেলে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ডাক্তার আজকে বোধহয় এসেছিল তারা ওষুধ দিয়েছে কিন্তু সে ওষুধে কাজ হচ্ছে না। তার উন্নত চিকিৎসার দরকার।
বেগম সেলিমা ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আমরা তো পারমিশন পাই না আজকে একমাস হলো অনেক বলার পরে আমরা দেখা করার অনুমতি পেলাম। আমরা কাছে আসলে তাও তো তার একটু ভালো লাগে কিন্তু আমরা যে দেখতে আসবো সেই পারমিশন পাও তারা দিচ্ছে না। এক মাস দেড় মাস হয়ে যায় কোন পারমিশন দেয় না।
উন্নত চিকিৎসার বিষয়ে বেগম জিয়া কোন কিছু বলেছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিনি অসুস্থ তিনি তো উন্নত চিকিৎসা চাইবেনই। তার সুস্থ হওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা খুবই জরুরী।
বেগম জিয়া জনগণের উদ্দেশ্যে কোনো মেসেজ দিয়েছেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ম্যাডাম আপনাদের ও দেশের সকল জনগনের কাছে দোয়া চেয়েছেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।