খােলাবাজার২৪,সোমবার,২০জানুয়ারি,২০২০ঃ আসন্ন সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে না পারায় মনে অনেক কষ্ট বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব সুন্দরভাবে তার দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন, আমি সে সুযোগ পাচ্ছি না।’
তবে তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি মেনে চলছেন এবং চলবেন বলেও জানান।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ে নিজ সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ওপর আরেক প্রশ্নের জাববে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে ধানের শীষের গণজোয়ারের কথা বলা হলেও তা একটি দিবাস্বপ্ন। ১ তারিখ বোঝা যাবে, গণজোয়ার ধানের শীষের নাকি নৌকার? নির্বাচনের ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা (বিএনপি) কারচুপির অভিযোগ করবে, এটি তাদের পুরনো অভ্যাস।
সারাদেশে ধানের শীষের গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
এসময় ‘ভোটে কারচুপি হলে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হবে’, মির্জা আব্বাসের এমন মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা আব্বাসের মনে কি আছে, তাকি আমি জানি?
সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি অথচ আ.লীগের পক্ষ থেকে সিটি নির্বাচনে তাদের প্রার্থী নিয়ে কোনও মন্তব্য বা বক্তব্য নেই, তাহলে কি তাদের প্রার্থীকে আমলে নেয়া হচ্ছে না এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পোস্টার রাস্তা-ঘাটে দেখেছি। অনেক সুন্দর চেহারার, দামী পোশাক পরা প্রার্থীর পোস্টার আমি দেখি। তবে কথাবার্তা কখন-কোথায় বলেন, তাতো দেখি বা শুনি না। তাহলে হয়তো সাংবাদিকরাই তার কথা আমলে নেন না, সংবাদ করেন না।
প্রথম আলোর সম্পাদকসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, গ্রেপ্তারজারিসহ জামিন হওয়ার পুরো প্রক্রিয়াটি আইনিভাবেই হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রথম আলোর সম্পাদকের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার বিষয়ে সরকারের মধ্যে কোনও আলোচনা হয়নি। সরকার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেনি, করেছেন আদালত। পুরো বিষয়টি আদালতের নির্দেশনায় হয়েছে। আর সরকার তো আদালতকে নির্দেশ দিতে পারে না।
ওবায়দুল কাদের দাবি করেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলা হয়েছে, মামলার পর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে, পরে আসামিরা জামিন নিয়েছেন। সবই তো আদালতের বিষয়।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্নস্থানের দুই লেনের সড়কগুলোর উন্নয়নে সরকার কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে বিভিন্ন সড়ককে চার লেনে উন্নীত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।