Tue. Aug 26th, 2025
Logo Signature
Agrani Bank
Rupali Bank
Advertisements
খােলাবাজার২৪,বৃহস্পতিবার,০৫মার্চ,২০২০ঃ বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগের নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার অপরাধ কর্মের সাথে থাকায় আলোচনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার নাম।

এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ বিব্রত করছে কিনা, জানতে চাইলে দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা অপকর্মকারীকে আইনের আওতায় আনতে কখনো বিব্রত বোধ করি নাই।

অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে দেখেছি। অপরাধীরা নজরদারিতে রয়েছে।  অপরাধী যেই হোক না কেন, শেখ হাসিনা কাউকে ছাড় দেন না। তার প্রমাণ তিনি বারবার দিয়েছেন। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার ( ৫ মার্চ) আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

পিরোজপুরের জেলা দায়রা জজ বদলির ঘটনায় আওয়ামী লীগের অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি আরও বলেন, আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি, আইনের শাসনের বিশ্বাস করি, আমাদের স্ট্যান থেকে একচুলও নড়িনি। আমরা আমাদের যে বিশ্বাস, আমাদের অঙ্গিকারের প্রতি শতভাগ আমাদের অবস্থানে অটল আছি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আইন ও বিচার বিভাগের মধ্যে যদি কোনো বিষয়েে বিচ্যুতি বা ভুলবোঝাবুঝি হয়,  সে বিষয়ে সমাধান তারাই করবে।   এটা সম্পূর্ণ তাদের এখতিয়ার। এ বিষয় নিয়ে আমাদের দলীয় ভাবে মন্তব্য করা সমীচীন নয়। তবে আমাদের দলীয় ভাবে যদি কোনো বিচ্যুতি বা ভুলত্রুটি বা আইনের শাসনের পরিপন্থী কোনো কিছু হলে থাকলে সেটা আমরা দলীয় ভাবে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।

বিচার বিভাগ স্বাধীন নয় বিএনপির এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন,  বিএনপির এখন ইস্যু খুঁজে বেড়ানোর বিষয় ছাড়া তাদের হাতে অন্য কিছু নেই। তারা যেকোনো বিষয় থেকে ইস্যু খুঁজতে চায়। তারা খালেদা জিয়াকে নিয়ে ইস্যু খুঁজতে চাইছে। তারা নির্বাচন থেকেও  ইস্যু খুঁজতে চায়। ইস্যু খোঁজা তাদের শেষ নেই।

বিএনপির যে নেগেটিভ রাজনীতি, বিএনপির যে ইস্যু খোঁজার প্রতিযোগিতা আমাদের কিছু করণীয় নেই।  আমরা আইনের শাসনের বিশ্বাস করি।  আমরা বিচার বিভাগের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি।  এটা আইন ও বিচার বিভাগের বিষয়।  এ বিষয়ে ব্যাখা আইনমন্ত্রী দিয়েছেন। তারাই বিষয়টি পরিস্কার করবেন। এখানে আমাদের দলীয় স্ট্যান্ডের সঙ্গে কোনো প্রকার অসামঞ্জস্য কিছু আমাদের দলের পক্ষ থেকে হতে দেব না।

পিরোজপুরের জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নানকে বদলি করার বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে বিচার বিভাগ ও আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয়। আইনমন্ত্রী অলরেডি তার বক্তব্য দিয়েছেন। এখানে উচ্চ আদালতে ইনভলমেন্ট রয়েছে, রুলিং আছে। কাজেই এটা আইন মন্ত্রণালয় ও বিচার বিভাগের মধ্যে বিষয়টি চলছে।  আমরা বিষয় মৌলিক ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা লক্ষ করছি এখানে আমাদের দলীয় ভাবে যদি কেউ এ ব্যাপারে কোনো সমস্যার কারণ হয়।

মুজিববর্ষে ভারতের সরকার প্রধান নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগম নিয়ে বিভিন্ন ইসলামী দলের কর্মসূচিতে শৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে কিনা?

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা সেরকম কিছু ভাবছিনা। আমরা মনে করি মুজিববর্ষের আয়োজন যথাযথ ভাবে এগিয়ে চলছে।  ঐতিহাসিক আয়োজনে সারাদেশের মানুষের মাঝে সারা জেগেছে। মুজিববর্ষের আয়োজন  স্বাভাবিক ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা কতৃপক্ষও বাঁধা বা প্রতিবন্ধকতার স্কোপ দেখছেন না। যারা আবেগে বিষয়টির বিরোধীতা করছেন তাদের সঙ্গে আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলছেন। কিছু ব্যক্তি আছে যারা বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করছে, যেমন বিএনপি।

বঙ্গবন্ধুকে তাদের সহ্য হয় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাস্টার মাইন্ড তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান।  তারা বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন।  তারা বঙ্গবন্ধুর উজ্জ্বল ডেকে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা তা পারেননি।

এসময় ঢাকা-১০ সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার আবদুর রহমান এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে সমন্বয়ক হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয়।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুর রহমান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, দফরর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সায়েম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহাম্মদ মন্নাফি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিলসহ অনেকে।