
বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাফসান জানী নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে বিচারের দাবিতে রোববার (০৮ মার্চ) ভিসি ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। নির্যাতনকারী হিসেবে ৩ শিক্ষার্থীর নাম উল্লেখ করেছেন তিনি।
এ ঘটনা এছাড়াও একাধিক শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগে উঠেছে। কিন্তু ভয়ে ওইসব নির্যাতিতরা অভিযোগ করার সাহস পাচ্ছেন না। অভিযোগকারীরাও সবাই ছাত্রলীগের সমর্থক। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগার কথা জানিয়েছেন তারা।
লিখিত অভিযোগকারী রাফসান জানী বলেন, গত ৫ মার্চ রাতে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে ছাত্রলীগ নামধারীরা, যেমন হাফিজ, সাইমন এবং সুমন।
একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শরীফুল ইসলাম বলেন, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে বিভিন্ন হুমকি দেয়া হচ্ছে। মানেজমেন্ট স্ট্যাডিজের মীর ইসরাত হোসেন সৈকত ও মানেজমেন্ট স্ট্যাডিজের প্রদীপ কান্তি বেপারী এবং একাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফুল ইসলাম দিপু একই কথা বলেন।
অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতন বন্ধ করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনা উচিত বলে মনে করেন বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি শাহ সাজেদা। তিনি বলেন, দোষীদের খুঁজে বের করে তাদের বিচার করা উচিত।
এদিকে ছাত্রলীগ নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত নয় বলে দাবি কমিটিবিহীন এ ছাত্রলীগ নেতার।
ছাত্রলীগ নামধারী নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ শিফাত নির্যাতনের সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, যে কোনো ঘটনা ঘটানোর পর আমার নাম ব্যবহার করছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলছেন, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হয়। অভিযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যায়ের যে আইন আছে সেভাবে ব্যবস্থা নেয়া হয়ে থাকে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপ রয়েছে। একটির নেতৃত্বে রয়েছেন মহিউদ্দিন আহমেদ শিফাত এবং অপরটির নেতৃত্বে রয়েছেন আশরাফুল কবির ঈমন ও সৈয়দ জিসান আহমেদ। ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ বছরেও গঠিত হয়নি ছাত্রলীগের কমিটি। তবে গঠিত না হলেও ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করেই চালানো হয় অরাজকতা।